আইসল্যান্ডে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮০০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দেশটিতে গত শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেকজানেস উপত্যকায় মৃদু ও মাঝারি পর্যায়ের এসব ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ রকম ভূমিকম্পের পর সেখানের আগ্নেয়গিরিগুলোতে অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে।
রিখটার স্কেল অনুযায়ী, প্রতিটি মুহূর্তে পৃথিবীর বেশির ভাগ স্থানেই বিশেষত পার্বত্য এলাকা ও সাগরতলে অসংখ্য ছোট ছোট ভূমিকম্পন ঘটে থাকে। তবে রিখটার স্কেলে ২ মাত্রার নিচের ভূমিকম্পগুলো সাধারণত কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না বলে এগুলো নিয়ে কোথাও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় না। এ ছাড়া একটি বড় ভূমিকম্পের পর কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় আফটার শক বা প্রতিঘাতের সৃষ্টি হতে থাকে। তবে সেগুলোর মাত্রাও সব সময় বড় হয় না। তবে আইসল্যান্ডের রেকজানেস উপত্যকার ভূমিকম্পগুলোর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেটি বিশেষ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাগরিক সুরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সতর্কতা জারি করে বলেছে, যে ভূমিকম্প হয়েছে, তার চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে। আর এ রকম হলে অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমও) বলেছে, কয়েক দিনের মধ্যেই অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা রয়েছে। গ্রিন্ডাভিক গ্রামটি ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এই গ্রামে প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস। অগ্ন্যুৎপাত হলে ওই গ্রাম থেকে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আইএমও আরও জানিয়েছে, এসব ভূমিকম্পের অধিকাংশের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে।
আইএমও বলেছে, সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি হয়েছে গ্রিন্ডাভিক এলাকা থেকে ৫.২ কিলোমিটার উত্তরে। ভূমিকম্পে গ্রিন্ডাভিক এলাকার উত্তর-দক্ষিণ অভিমুখী ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।
ভূমিকম্প পরিমাপকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরের শেষ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ভূমিকম্প হয়েছে রেকজানেস উপত্যকায়।
২০২১ সালের মার্চ, ২০২২ সালের আগস্ট ও ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রেকজানেস উপত্যকায় তিনটি অগ্ন্যুৎপাত হয়।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা