আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৫৭
না ফেরার দেশে মাসুম আজিজ

না ফেরার দেশে মাসুম আজিজ

মাসুম আজিজ। ফাইল ছবি

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য নাট্যকার, অভিনয়শিল্পী মাসুম আজিজ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

আজ সোমবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মাসুম আজিজের শ্যালক ওয়াকিত বাবু দৈনিক বাংলাকে তার ভগ্নিপতির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাসুম আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বার্ধক্যসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত মাসুম আজিজের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে এ বছরের শুরুর দিকে। এরপর তাকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার থেকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করে সুখ্যাতি কুড়ানো মাসুম আজিজের টেলিভিশনে অভিনয় জীবনের শুরু ১৯৮৫ সালে। তবে এর আগেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থাতেই থিয়েটারে সম্পৃক্ত হন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় অনেক নাটক লিখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। অভিনয়ে অবদানের জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক পান তিনি।

ছোট পর্দার পাশাপাশি মঞ্চেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। মঞ্চে তার রচনা ও নির্দেশনায় সর্বশেষ নাটক ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নিয়মিত মঞ্চায়ন করছে ঢাকা পদাতিক।

হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ছবিটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।

শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘মাসুম আজিজ দীর্ঘ কর্মজীবনে ৪০০-এর অধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর মত গুণী অভিনেতার মৃত্যু দেশের নাট্যাঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’