আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:১১
রিজার্ভের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত
বেড়ে ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজার্ভের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের টাকা যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে যুক্ত হয় আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮৯ মিলিয়ন বা প্রায় ৬৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং এডিবির ঋণের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলার।

তবে আইএমএফের দেওয়া ফর্মুলা বিপিএম-৬ অনুযায়ী খরচযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার বলেও জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, গত বৃহস্পতিবার দেশের রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার, যা রোববার ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গির আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন মুখপাত্র। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গেল মঙ্গলবার আইএমএফ পর্ষদের অনুমোদন পায় বাংলাদেশের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি। সে সময় আইএমএফ জানায়, শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যুক্ত হবে প্রায় ৬৯ কোটি ডলার। এর আগে গত শনিবার মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন সময়মতো যুক্ত হয়েছে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি। পাশাপাশি তিনি জানান, এডিবির ঋণের ৪০ কোটি ডলারও একই দিনে ছাড়া হয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য রিজার্ভের নতুন লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেন। আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে বাংলাদেশকে এমন কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে আইএমএফ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৭০ কোটি বা ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা মোট সাতটি ধাপে দেওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি। তবে কম সুদের আইএমএফ ঋণ পেতে জুড়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু শর্ত, যার মধ্যে প্রাধান্য পায় নানা রকম অর্থনৈতিক ও রাজস্ব সংস্কার। ঋণ অনুমোদনের পরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে।