বেপজার অধীনে পরিচালিত ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য ১২ হাজার ৮০০ টাকা নিম্নতম মজুরি চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মজুরি বোর্ডের পঞ্চম ও সর্বশেষ সভায় এ মজুরি চূড়ান্ত করা হয়। নতুন মজুরি কাঠামোতে ইপিজেডস্থ একজন শ্রমিক নিম্নতম মূল মজুরি ৬,৯৫০ টাকা, মূল মজুরির ৫০% বাড়ি ভাড়া (৩,৪৭৫ টাকা) এবং চিকিৎসা ভাতা ২৩৭৫ টাকা হিসেবে মোট ১২,৮০০ টাকা পাবেন। এ ছাড়া নিম্নতম মোট মজুরির অতিরিক্ত হিসেবে শ্রমিকরা খাদ্য বা খাদ্য ভাতা এবং পরিবহন বা পরিবহন ভাতা পাবেন, যা ইতোপূর্বে ছিল এবং বর্তমান মজুরি কাঠামোতেও এ সুবিধা বহাল থাকবে। ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯’-এর ধারা ৬৫-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যানকে প্রধান করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, ইপিজেডের মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গত ৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ১১ সদস্যের একটি মজুরি বোর্ড গঠন করে। মজুরি বোর্ডের প্রথম সভায় ৩ জন মালিক প্রতিনিধি, ৩ জন শ্রমিক প্রতিনিধিসহ ৭ জন সদস্যকে কো-অপ্ট করা হয়। মজুরি বোর্ড ইতোপূর্বে মোট চারটি সভা করে সর্বসম্মতিক্রমে ১২,৮০০ টাকা নিম্নতম মজুরির সুপারিশ করেন। সুপারিশকৃত খসড়া মজুরি গত ৭ ডিসেম্বর গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। প্রজ্ঞাপনের ১৪ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত বিভিন্ন পক্ষের মতামত বিবেচনায় নিয়ে গতকাল চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। চূড়ান্ত মজুরি ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে অর্থাৎ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ইপিজেডে কর্মরত প্রায় ৫ লাখ শ্রমিক নতুন কাঠামোতে মজুরি পাবেন।
বর্তমানে ইপিজেডে কর্মরত একজন শ্রমিকের নিম্নতম মোট মজুরি (খাদ্য ও পরিবহণ ভাতা বাদে) ৮২০০ টাকা যা সর্বশেষ ২০১৮ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল। নতুন কাঠামোতে ইপিজেডের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮টি ইপিজেড এবং চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪৫০টি শিল্প চালু রয়েছে। দেশি-বিদেশি ৩৭টি দেশের বিনিয়োগকারী গত নভেম্বর পর্যন্ত ৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। ইপিজেডসমূহ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা