আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২২ ২১:০৩
প্রতিদিন সড়কে ঝরছে অন্তত ১৭ প্রাণ
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রতিদিন সড়কে ঝরছে অন্তত ১৭ প্রাণ

দেশে গত ১ বছরে ৫ হাজার ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন সড়কে ঝরেছে ১৭ জনের প্রাণ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ, সেবক এবং ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টার আয়োজিত ‌‘সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপে’ এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে সড়কে নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংলাপে জানানো হয়, গত ১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার। এর মধ্যে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েছেন ১২ হাজার ৫০০ জন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, ‘দুর্ঘটনাগুলো আমাদের হাতের তৈরি। তাই এটাকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। এটা ক্র্যাশ। চালক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ না হলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে। চালকদের দক্ষ বানাতে হবে। যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে সে মানিয়ে নিতে পারে। তাই নিরাপদ চালক তৈরি করা দেশে খুব জরুরি।’

অধ্যাপক শামছুল হক বলেন, ‘বিআরটিএর দায়িত্ব চালকদের আগে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তার পরে লাইসেন্স দেয়া। গাড়ির ফিটনেস প্রক্রিয়া ও চালককে লাইসেন্স প্রদানে বিআরটিএকে আরও সচেতন হতে হবে।’ দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু চালককেই দোষারোপ করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পেছনে আরও কারণ থাকে। শুধু চালককে জেলে পাঠানো সমীচীন নয়। সিস্টেমকে নিরাপদ করতে পরিবর্তন দরকার। ফিটনেস সেন্টারগুলোয় সিসিটিভি ক্যামেরা দিলে বড় পরিবর্তন আসবে। এরজন্য কোনো বড় প্রকল্প নিতে হবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে সেবকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান মোহাম্মদ বাবুল বলেন, ‘ডোপ টেস্টের নামে চালকরা হয়রানি হচ্ছেন। তাদের সার্টিফিকেট দেয়ার নামে অর্থ নেয়া হচ্ছে। কয়েকজন নেশাখোর চালকের জন্য কেন সব চালককে এই হয়রানি হতে হবে। রাস্তায় এলইডি লাইটের কারণে চালকরা গাড়ি চালাতে পারেন না। সরকারকে বলব, এটি আমদানি বন্ধ করুন। তাহলে রাস্তায় দুর্ঘটনা কমবে।’

সেবকের সমন্বয়ক পার্থ সারথি দাসের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য দেন ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক নুরুন্নবী শিমুল, রোড সেফটি অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি আবদুল ওয়াহেদ, মোটর ড্রাইভিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল বাশার, শাহীন হোসেন মোল্লা, সোনিয়া শিব্রা প্রমুখ।