টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিকে নিয়ে বছর জুড়েই শোরগোল পড়ে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কয়েক দিন পর পরই নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সোজাসাপটা কথা বলার জন্য অনেকেই তাকে ‘ঠোঁটকাটা’ বলেও মন্তব্য করেন। বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে পোস্ট করা নিজের বক্তব্য নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েন স্বস্তিকা। সেগুলো নিয়েও ব্যাখ্যা দেন এই অভিনেত্রী।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকলেও কাজেও কিন্তু পিছিয়ে নেই এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এবারই সম্পূর্ণ ভিন্নধারার একটি চরিত্র নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বস্তিকা। এরইমধ্যে তিনি শেষ করেছেন অরিন্দম ভট্টাচার্যের নতুন ছবি ‘দুর্গাপুর জংশন’-এর কাজ। এতে ভিন্নধর্মী এক চরিত্রে দেখা যাবে উমা বউদিখ্যাত এই লাস্যময়ীকে। সেই ছবি ও চরিত্রের গল্প বললেন পরিচালক অরিন্দম। তিনি জানান, থ্রিলার ঘরানার এই ছবির পটভূমিকায় শিল্পনগরী দুর্গাপুর। সেখানে অতীতে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। তারই রহস্যভেদে নেমেছেন তরুণ পুলিশ অফিসার বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গী সাংবাদিক স্বস্তিকা। বিক্রম পর্দায় খুবই রগচটা। স্বস্তিকা ততোধিক ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রসায়ন তৈরি হবে? পরিচালকের মতে, দর্শক তেমনই আশা করছেন। ওটুকু রহস্যই থাক।
অরিন্দমের ‘শিবপুর’ ছবিতে স্বস্তিকা প্রথম মাফিয়া। এবারে সাংবাদিক। কোন চরিত্রে নায়িকা অনবদ্য? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালকের বিশ্লেষণ, ‘অতি সাধারণ গৃহবধূ থেকে অতি ভয়ংকর মাফিয়া। আগের ছবিতে স্বস্তিকা স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে মেলে ধরার অনেকটা সুযোগ পেয়েছিলেন। একদম ভিন্ন ধারার চরিত্র। নায়িকা একচুল কাউকে ছাড়েননি।’ তার মতে, দুটো ছবির মধ্যে কোনো তুলনাই চলে না।
ছবিতে এই দুই চরিত্র ছাড়াও রয়েছেন রাজদীপ সরকার, প্রদীর ধর এবং বলিউডের একাবলী খান্না। পরিচালনা ছাড়াও ছবির কাহিনিকার এবং প্রযোজক অরিন্দম নিজে। ক্যামেরায় প্রসেনজিৎ চৌধুরী। সংগীতে সৌম, শ্রী এবং তিরু।
ছবিটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত স্বস্তিকা মুখার্জি। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেমে এই অভিনেত্রী হঠাৎ করে একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করে চরম ট্রলের শিকার হচ্ছেন। সেখানে তিনি জানান, ১৫ বছর আগে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। বলা যায়, সেই সম্পর্কের কথা নিজেও ভুলে গিয়েছিলেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা