কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। এতেই টালমাটাল হয়ে পড়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি। এর উত্তাপ থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশও। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের পুঁজিবাজারসহ সার্বিক অর্থনীতিতে। একই সঙ্গে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সংকট দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন এবং ভিত শক্তিশালী করতে চলতি বছরজুড়ে সক্রিয় ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ইক্যুইটির পাশাপাশি নতুন পণ্যভিত্তিক বৈচিত্র্যময় বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ পলিসিগত বাজারবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
দেশের পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইক্যুইটির ওপর ভর করেই চলছে বাজার ব্যবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে বাজারের ব্যাপ্তি বাড়াতে পুঁজিবাজারে নতুন বৈচিত্র্যময় পণ্য হিসেবে এসএমই প্ল্যাটফর্ম, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি), এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) ও ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর বাইরে কমোডিটি ও ডেরিভিটিভস এক্সচেঞ্জও চালুর পথে রয়েছে। এ ছাড়া দেশের পুঁজিবাজারসহ বাংলাদেশে ভবিষৎ সম্ভাবনার কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং করেছে বিএসইসি। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও সূচক বিবেচনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপগুলোর দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখা না গেলেও ভবিষ্যতে এর সুফল পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
চলতি বছরের মধ্যে বিএসইসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা। বৈশ্বিক সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে প্রথমবার ২০২০ সালের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়, যা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের ১৭ জুলাই। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে সংস্থাটি। পরবর্তীতে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিদিন একটি-দুটি শেয়ার কেনাবেচার বিপরীতে ১ শতাংশ হারে দর কমতে থাকায় চলতি বছরের গত ১ মার্চে তৃতীয় দফায় ফের ১৬৭ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ফিরিয়ে আনে বিএসইসি, যা এখনো বহাল আছে। ফ্লোর প্রাইস নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলছে, পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এটি বহাল রেখেছে কমিশন।
বছরের শেষ দিকে হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে পুঁজিবাজারের সদস্য করা বিএসইসির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গত ১৯ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট খুলছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা। পুঁজিবাজারের অন্যতম ব্রোকারেজ হাউস উত্তরা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তাদের এই বিও হিসাব খোলা হয়েছে। এটি বিএসইসির অন্যতম একটি বড় অর্জন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পুঁজিবাজারের ব্র্যান্ডিং, ব্যাপ্তি বাড়ানো ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের জন্য বছরজুড়ে সক্রিয় ছিল বিএসইসি। চলতি বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ৬ মার্চ, এশিয়ার জাপানে ২৭ এপ্রিল, সাউথ আফ্রিকায় ২৩ আগস্ট এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে ২৩ ও ২৫ অক্টোবর, জার্মানিতে ৩০ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর এবং বেলজিয়ামে ৩ নভেম্বর রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত রোড শোগুলোতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি, শেয়ারবাজার ও সার্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং এফডিআইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা তুলে ধরা হয়।
শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগকে পুঁজিবাজার এক্সপোজারের বাইরে রাখা চলতি বছরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। তবে এ সিদ্ধান্তটি বিএসইসির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া শেয়ার, বন্ড, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে নির্দেশনা পুঁজিবাজারে জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তটিও বিএসইসির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন বৈচিত্র্যময় পণ্য হিসেবে চলতি বছরের গত ৪ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করা হয়। এটা সিদ্ধান্ত বিএসইসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এটা দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। দেশের কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট এবং ডেরিভেটিভস পণ্যের সুষ্ঠু, দক্ষ ও স্বচ্ছ লেনদেনের জন্য চলতি বছরের গত ১৬ অক্টোবর বিধিমালা তৈরি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বিএসইসি। দেশের আর্থিক বাজারের জন্য কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম নতুন প্রোডাক্ট। এটিও নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
এর বাইরে বন্ড মার্কেট উন্নয়নে চলতি বছর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কমিশন। বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সহায়ক ইকোসিস্টেম সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় গাইডলাইন তৈরির জন্যও বিএসইসি ও ইউএনডিপি একসঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশে সাসটেইনেবিলিটি বন্ড গাইডলাইন তৈরি করছে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বন্ডগুলো এখন ভালো রিটার্ন দিচ্ছে। নারীদের জন্য ‘অরেঞ্জ বন্ড’ নামক এক বিশেষায়িত বন্ড আনতে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ ছাড়া চলতি বছর মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়িয়েছে বিএসইসি। চলতি বছরের ৩০ মার্চ পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সীমা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
চলতি বছর ৩ অক্টোবর ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের হিসাব সংরক্ষণের জন্য পৃথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের পরিবর্তে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালুর নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে এ সফটওয়্যার চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া দেশের পুঁজিবাজারে ইসলামিক শরিয়াভিত্তিক বিভিন্ন প্রকার সিকিউরিটিজ ইস্যু আনতে ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
এর বাইরে চলতি বছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের নির্দেশনা স্পষ্টীকরণ, মুদ্রা বিনিময় হারের ঝুঁকি কমাতে পুঁজিবাজারে ‘ফরেক্স’ চালুর উদ্যোগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে পুনরায় কঠোরতা আরোপ, ৪ ব্রোকারেজ হাউজে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ প্রদান এবং বিভিন্ন কোম্পানি একীভূতকরণের সিদ্ধান্তসহ বাজার সংস্করণের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
আগামীর পুঁজিবাজার কেমন হবে
চলতি বছরে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কারসাজি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। সিন্ডিকেটেশন, ইনসাইডার ট্রেডিং, যোগসাজশের মাধ্যমে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমানো এবং গুজবনির্ভরতা ছিল চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। একদিকে মৌলভিত্তির ও ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারে স্থবিরতা, অন্যদিকে দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের দৌড়-ঝাঁপ ছিল আলোচ্য বছরজুড়েই। এমন পস্থিতিতে বিভিন্ন সময় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শেয়ারের বিষয়ে বিএসইসির কাছে অভিযোগ জানালে ওই সব কোম্পানির সার্বিক অবস্থা ও দরবৃদ্ধি/কমার কারণ অনুসন্ধানেও ভূমিকা রেখেছে সংস্থটি। তবে শাস্তির নজির তেমন একটা দেখা যায়নি। অবশ্য সংস্থাটি বলছে, আগামী বছর থেকে তারা শাস্তির বিষয় অধিক গুরুত্বারোপ করবে।
গত মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে গভর্নেন্সের বিষয়ে এই মাস থেকেই আমরা কঠোর হওয়া শুরু করেছি। নির্বাচনের পর থেকে আরও কঠোর হব। বিনা কারণে যে সরকারের বদনামগুলো হয় তা থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি। অল্প গুটি কয়েকজন লোকের জন্য ক্যাপিটাল মার্কেট বা মানি মার্কেটের দুর্নাম হবে সেই দিন শেষ।’
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারের প্রতি বিনিয়োগাকারীদের আস্থা অর্জন ও সংকট দূর করতে করপোরেট গভর্নেন্সকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি নতুন বছরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যে বাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হোক। ’
চলতি বছরের বাজার বিশ্লেষণ
চলতি ২০২৩ বছরের শেষ কার্যদিবস ছিল গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর)। বছরের শেষে কার্যদিবস লেনদেন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে। বছরের শুরুতে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি সূচকটির অবস্থান ছিল ৬ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে মাত্র ৫১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ। আলোচ্য বছরের মধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বনিম্ন ৬ হাজার ১৮২ পয়েন্ট ও ১৬ জুলাই সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে অবস্থান নেয় সূচকটি। ডিএসইর অন্য সূচকগুলির মধ্যে ১ জানুয়ারি শরিয়াহ সূচক ডিএসইএসের অবস্থান ছিল ১ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে। বছরের শেষ কার্যদিবস শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৪ পয়েন্টে। বছরের ব্যবধানে সূচকটি বেড়েছে ৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। ডিএসইএক্স ও ডিএসইএস সূচক বাড়লে আলোচ্য বছরে নির্বাচিত ৩০ শেয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ব্লু-চিফ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে । ১ জানুয়ারি ডিএস ৩০ সূচকটির অবস্থা ছিল ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে। বছর শেষে সূচকটির অবস্থান কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৪ পয়েন্টে। অথাৎ বছরের ব্যবদধানে সূচকটি কমেছে ১০০ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। বছর শেষে বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ কোটি টাকায়। অথাৎ বছরের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়লেও আলোচ্য বছরে ডিএসইর গড় লেনদেন কমে নেমে এসেছে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে। যেখানে আগের বছরে গড় লেনদেন ছিল হাজার কোটি টাকার উপরে। তবে বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেন আগের মাসের তুলনায় ১ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি ছিল। আগের মাস নভেম্বরে ডিএসইতে দৈনিক গড় ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছিল। বছরের শেষ মাসের লেনদেনের প্রবৃদ্ধিকে আগামী বছর পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে ফেরার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা