আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৩২
২০২৩ সালে ধর্ষণের শিকার ৫৭৩ জন নারী
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩ সালে ধর্ষণের শিকার ৫৭৩ জন নারী

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে একক ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৫৭৩ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৩ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৫ জন। আর এই সময়ে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ১২৯ জন। এর মধ্যে ৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টার পর হত্যার পাশাপাশি ধর্ষণের চেষ্টার কারণে আত্মহত্যা করেছেন আরও ৩ জন।

রোববার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)- এর বার্ষিক প্রতিবেদনে তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পরিসংখ্যান গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, বিগত বছরগুলোর মতো ২০২৩ সালেও ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, পারিবারিক নির্যাতন, সালিশ ও ফতোয়াসহ নারীর প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ১৪২ জন নারী। এর মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন । এ ছাড়া এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১২২ জন পুরুষ। আর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৪ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ খুন হয়েছেন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অনলাইনেও নারীরা ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছেন। এই মাধ্যমেও বাড়ছে নারীর প্রতি বৈষম্য, অবমাননা ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা।

প্রতিবেদনে পারিবারিক নির্যাতন ও যৌতুক অংশে বলা হয়, এ বছর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৫০৭ জন নারী। যার মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা যান ২৯২ জন এবং আত্মহত্যা করেন ১৪২ জন।

গৃহকর্মী নির্যাতন ও অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ২০২৩ সালে ৩২ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের কারণে মারা যান ৬ জন, এ ছাড়া রহস্যজনক মৃত্যু হয় একজনের। অন্যদিকে ২০২৩ সালে অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ১০ জন নারী।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৪৭৯ জন নারী। অন্যদিকে ২০২৩ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৪২ নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হন ৬৪ জন নারী এবং আত্মহত্যা করেন ৬ নারী। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদিনটি বানানো হয়েছে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়।