দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা, কার্যলয় ভাঙচুর, হামলা ও নেতাকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ট্রাক প্রতীকধারী প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির। গতকাল মঙ্গলবার এক হামলার ঘটনায় প্রায় ১০ জন আহত হয়। তাদের পূ্র্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার জুগলী গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগের তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে (২১ ডিসেম্বর) প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর থেকেই আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর, কর্মীদের ওপর হামলা এবং প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা চালিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজনরা। এছাড়াও তারা আমার সমর্থকদের ৬টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।’
সোহেল ফকির আরও অভিযোগ করেন, বুধবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহমদ হোসেনের সমর্থক এনামুল হক-প্রথম রাউন্ড শেষ এখন দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবে-উল্লেখ করে পোস্ট করেছে। এ বিষয়ে পূ্র্বধলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাজহারুল ইসলাম নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে তার দাবী অতিদ্রুত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে একটি সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের।
পূ্র্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় বাদী রাসেল মিয়া ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা