আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৯:৪৪
১০২ বছরের বৃদ্ধ: যদি বাঁইচ্যা থাহি ৫ বছর পর আবারও শেখ হাসিনারেই ভোট দিমু
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

১০২ বছরের বৃদ্ধ: যদি বাঁইচ্যা থাহি ৫ বছর পর আবারও শেখ হাসিনারেই ভোট দিমু

বয়স তার শতোর্ধ্ব। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গেছেন। চলাচলের জন্য লাঠিই এখন তার একমাত্র সঙ্গী। এ বয়সেও কারও সাহায্য ছাড়াই লাঠিতে ভর দিয়ে এক-দু পা করে হেঁটে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন ১০২ বছরের বৃদ্ধ সুশীল দেউড়ি।

এই কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে ভোট দেন তিনি। ভোট দেওয়ার সময় দু-একজন তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেও তিনি কারও সাহায্য না নিয়ে একা একাই বুথে যান। গতকাল রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে তিনি তার ভোট প্রদান করেন। ভোটদান শেষে দৈনিক বাংলার নিজস্ব প্রতিবেদকের সঙ্গে তার কথা হয়।

সুশীল দেউড়ি বলেন, ‘শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) আমাগো সব দেছে। আমারে বয়স্ক ভাতা দেছে, আমার জামাইরে এককান ঘর দেছে, আমাগো বাড়ির সামনে সুন্দর একটা রাস্তা বানাইয়া দেছে।’ তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘যদি বাঁইচ্যা থাহি ৫ বছর পর আবারও শেখ হাসিনারেই ভোট দিমু।’

সুশীল দেউড়ির বাড়ি কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামে। ৪ বছর আগে তার স্ত্রী আলোমতি দেউড়ি মারা গেছেন। কোনো পুত্রসন্তান না থাকায় সুশীল দেউড়ি আশ্রয় নেন মেয়ে দুর্গা দেউড়ির বাড়িতে। জামাই পরিমল বাড়ৈ একজন দিনমজুর।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, ‘স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সুশীল দেউড়িকে আমি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। সুশীল দেউড়ির মেয়ে জামাই পরিমল বাড়ৈর বসবাসের উপযোগী তেমন কোনো ঘর না থাকায় আমি সরকারিভাবে একটি সেমিপাকা ঘর দিয়েছি। এই ঘরেই মেয়ে-জামাইয়ের পরিবারে সুশীল দেউড়ি বসবাস করছেন। আমার এলাকায় গৃহহীন কোনো পরিবার নেই। শুধু উন্নয়নের জন্য নয়, এ এলাকার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসেই ভোট দেয়।’

এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা চলে ভোটগ্রহণ। এ উপজেলার ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন।