গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত বহু সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বহু মানুষ হামলায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এসব আহত ও নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে প্রায় ১ হাজার শিশু তাদের একটি বা উভয় পা হারিয়েছে। গাজায় প্রতিদিন ১০ জন শিশু পঙ্গু হচ্ছে । আর্ন্তজাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন এমনটাই জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার সেভ দ্য চিলড্রেনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও নিত্যপণ্যের তীব্র ঘাটতির কারণে ইসরায়েলি হামলায় আহত শিশুদের অনেকের অপারেশন অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক জেসন লি বলেন, ‘এই যুদ্ধে শিশুদের দুর্ভোগ অকল্পনীয়, এমনকি এর চেয়েও বেশি। কারণ এই সংঘাত পুরোপুরি এড়ানো যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের হত্যা এবং পঙ্গুত্ব একটি গুরুতর লঙ্ঘন, যা নিন্দার যোগ্য এবং অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা আরও বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের মতে, বিস্ফোরণে আঘাতের কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মৃত্যুর হার প্রায় সাত গুণ বেশি। কারণ তারা আঘাতের প্রতি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সংবেদনশীল।
এদিকে গাজাকে বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বলছে, এখানে বসবাসের কোনো পরিস্থিতি অবশিষ্ট নেই। গাজার ব্যবস্থাপনাগুলো সব ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে বাসিন্দারা নিরাপত্তা, খাবার, চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে ভুগছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা