আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটার নাহিদা আক্তার। গত বছর ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে বেশ ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছিলেন তিনি। ১১ ওয়ানডে খেলে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দলকে সাহায্য করেছিলেন ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বাঘা বাঘা দলগুলোকে হারাতে। এমনকি ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়েও নাহিদার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ, সে সিরিজে ৩ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৭ উইকেট। এ ছাড়া ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ১৫ গড়ে তুলে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। গত বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে তার উইকেট সংখ্যা ছিল ক্রিকেটবিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার চেয়ে বেশি উইকেট ছিল কেবল অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার অ্যাশলি গার্ডনারের। ১৩ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই অজি ক্রিকেটার। অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অন্যতম ধারাবাহিক ক্রিকেটারদের একজন নাহিদা। এই তো, গত মাসেই দেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে জিতেছিলেন ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কার। ছিলেন আন্তর্জাতিক স্পোর্টসভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ইএসপিনক্রিকইনফোর’ বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে। এবার একই ধারাবাহিকতায় আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলেও জায়গা পেলেন তিনি।
২০২৩ সালের সেরা পুরুষ ও নারী ওয়ানডে দল ঘোষণা করেছে আইসিসি। যেখানে নারীদের সেরা একাদশে আছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ ক্রিকেটার এবং নিউজিল্যান্ড থেকে আছেন দুই ক্রিকেটার। এছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আছেন একজন করে ক্রিকেটার। এছাড়াও আইসিসির পুরুষদের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে দাপট ভারতীয়দের। দেশটি থেকে ঠাই পেয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটার।
আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ওয়ানডে দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, ট্রাভিস হেড, বিরাট কোহলি, ড্যারিল মিচেল, হেনরিখ ক্লাসেন, মার্কো ইয়ানসেন, অ্যাডাম জ্যাম্পা, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদ্বীপ ইয়াদভ, মোহাম্মদ শামি।
আইসিসির বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে দল: চামারি আতাপাত্তু (অধিনায়ক), ফিবি লিচফিল্ড, এলিস পেরি, অ্যামেলিয়া কার, বেথ মুনি, ন্যাট-শিভার ব্রান্ট, অ্যাশলি গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, নাদিন ডি ক্লার্ক, লি তাহুহু ও নাহিদা আক্তার।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা