আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:১৯
দেখা হলো ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে
ইউসুফ মুন্না

দেখা হলো ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে

ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুরের সঙ্গে বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। লেখক পেছনের সারির ডানে। ছবি: ভারতের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়

একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১৭ সালে আমি ভারতে গিয়েছিলাম। সেবার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে বাইরে থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনও দেখতে গিয়েছি। কখনো কল্পনাও করিনি পাঁচ বছর পর স্বয়ং রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে আবার সেখানে যাওয়া হবে। জীবন কখন যে কোথায় নিয়ে যায়, আগে থেকে বলা কঠিন।

আমরা ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করি ১২ অক্টোবর সকালে। আড়াই ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে দিল্লিতে নামি। সেখান থেকে হোটেলে যাওয়ার আগেই আমরা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে একটি জাদুঘর ঘুরে এসেছি। সেদিন অবশ্য আর কিছু করা হয়নি।

দ্বিতীয় দিন গিয়েছিলাম ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সে দিন আমরা ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুরের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি নিজ হাতে রাষ্ট্রপতির হাতে উপহার তুলে দিয়েছি।

ইউসুফ মুন্না

তৃতীয় দিনে আমরা ব্যাঙ্গালোরে আসি। সেখানে কর্ণাটক রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। বিধানসভায় গিয়েছি। ব্যাঙ্গালোর থেকে এসেছি মাইসোরে। বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা ঘুরে দেখেছি। মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে সোমবার। সে দিন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।

অসাধারণ অভিজ্ঞতা

১২ তারিখ আমরা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম, ৮ দিনের সফর ছিল ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। অসাধারণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। সবকিছু খুবই গোছানো। আমরা যখন এয়ারপোর্টে নেমেছি, তখন আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে ভারতের যুব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। সেখান থেকে গাড়িতে পুলিশি পাহারায় আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সব জায়গায় আমরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধাসহ ভ্রমণ করেছি। সার্বিকভাবে আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার ছিল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর্বটি খুবই চমৎকার ছিল, আমাদের জন্য আশাতীত। রাজকীয় ব্যাপার কেমন হতে পারে, সেটা একদম কাছে থেকে দেখেছি। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করেছে।

জানার ছিল, শেখার ছিল

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন দলের সদস্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। শুরুতে ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হয়। পাশাপাশি এই কর্মসূচির জন্য কেন নিজেকে যোগ্য বলে মনে করছি, তা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত ভিডিও বানাতে হয়েছিল। আমরা কী কী কাজ করি, তা সেখানে তুলে ধরেছি। ভিডিও দেখে যাচাই-বাছাই শেষে ডাকা হয় সাক্ষাৎকারের জন্য। সেখান থেকে ১০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যারা এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।

আমার সহযাত্রীদের সবাই বেশ যোগ্যতাসম্পন্ন। বিভিন্ন খাতের মেধাবী মুখগুলো ছিল সেখানে। এখানে এসে একসঙ্গে আনন্দ করছি, ঘোরাঘুরি করছি, আবার মিটিংয়ের মতো, শেখার মতো, পাবলিক লেকচারে যোগ দেয়ার মতো সিরিয়াস কাজও করছি। আর এতগুলো অসাধারণ মানুষ একসঙ্গে যেখানে, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই নতুন অনেক কিছু জানার থাকে, শেখার থাকে।