আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:০০
চার বছর পর আবার ‘মামুনুর রশীদ জন্মোৎসব’
বিনোদন প্রতিবেদক   

চার বছর পর আবার ‘মামুনুর রশীদ জন্মোৎসব’

দেশের প্রথিতযশা নাট্যজন মামুনুর রশীদ। একাধারে তিনি অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক। বাংলাদেশের মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্র জগতের গুণী এই নাট্যব্যক্তিত্বর জন্মদিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। এ কারণে তার জন্মদিন পালন করা হয় চার বছর পর পর। ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া মামনূর রশীদের এবার ১৯তম জন্মদিন। এর আগে ২০২০ সালে যখন তার বয়স ৭২ বছর ছিল, তখন জমকালো আয়োজনে ১৮তম জন্মদিন পালিত হয় তার। ভক্ত ও সহকর্মীরাও চার বছর অপেক্ষায় থাকেন ২৯ ফেব্রুয়ারির জন্য।

এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মামুনুর রশীদের জন্মদিন উপলক্ষে তিন দিনের বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছে তার হাতে গড়া নাট্যদল ‘আরণ্যক’। উৎসবে থাকবে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত নাটকের মঞ্চায়ন, সংগীত, নৃত্য, সেমিনার, প্রদর্শনী, গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, সংবর্ধনা ও থিয়েটার আড্ডা। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ আয়োজনটি হবে শিল্পকলা একাডেমি, চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ ও মহিলা সমিতিতে।

জানা গেছে, ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে চ্যানেল আইয়ে শুরু হবে জন্মোৎসব। ওই দিন মামুনুর রশীদকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এ বইয়ে তাকে নিয়ে লিখেছেন মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিভিন্ন পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের আয়োজন।

দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে মামুনুর রশীদকে নিয়ে থাকছে বিশেষ সেমিনার। এতে প্রদর্শিত হবে তাকে নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। বিকেলে মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে দেখা যাবে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত ‘রাঢ়াং’ নাটকের দুটি মঞ্চায়ন। অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসানসহ আরণ্যক নাট্যদলের জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পীরা।

তৃতীয় দিন ২ মার্চ সকাল ১০টায় অ্যাকটরস ইক্যুইটির উদ্যোগে হবে আরেকটি সেমিনার। এতে প্রবন্ধ পাঠের পাশাপাশি তাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হবে, যেটি নির্মাণ করেছেন সুজাত শিমুল। এদিন বিকেলে মহিলা সমিতিতে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত ‘কহে ফেসবুক’ নাটকের মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের আয়োজন।

মামুনুর রশীদের জন্ম ১৯৪৮ সালে টাঙ্গাইলের কালীহাতিতে মাতুলালয়ে। ছাত্রজীবন থেকেই মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। দেশ স্বাধীনের পরপরই দেশে ফিরে গড়ে তোলেন ‘আরণ্যক’ নাট্যদল।