আপডেট : ৭ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৪৮
ছাদে অবৈধ রেস্টুরেন্ট থাকায় ল্যাবএইড হাসপাতালকে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাদে অবৈধ রেস্টুরেন্ট থাকায় ল্যাবএইড হাসপাতালকে জরিমানা

রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে রাজধানীর গ্রীন রোডের ল্যাবএইড হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় নকশার নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ছাদে গড়ে তোলা অবৈধ রেস্টুরেন্ট ও সিলিন্ডারে লিকেজ থাকায় ল্যাবএইড হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা থেকে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালটিতে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটানোর পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাপনায় ক্রুটি ছিলো জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অভিযানে আদালত দেখতে পায়, নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে হাসপাতালের ৮ম তলায় একটি রুফটপ রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হয়েছে। যেটা নকশাতে ছিল না। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাতেও আমরা ক্রুটি পেয়েছি। সিঁড়ির পাশে রাখা ৫টি গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ১টি সিলিন্ডারে লিকেজ পাওয়া গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সার্বিকভাবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
এর আগে অভিযানের শুরুতে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রবেশ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়ায় রান্নার পরিবেশসহ সব বিষয় পরিদর্শন করেন আদালত। সন্তোষজনক পরিবেশ পাওয়ায় সেন্ট্রাল হাসপাতালকে কোনো জরিমানা করেনি আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। তদন্ত মিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েট ও ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটিকে চার মাসের মধ্যে আগুনের কারণ অনুসন্ধান এবং কারা দায়ী তা খুঁজে বের করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে, সে বিষয়েও সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে এ কমিটি।