আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২৪ ২০:৩২
আগের মতোই মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানো হবে
বাসস

আগের মতোই মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানো হবে

মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার থেকে আবারও যে সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

মিয়ানমার সীমান্তে চলা সংঘাতে প্রায়ই বাংলাদেশরে সীমানা পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। এই সংকট নিরসনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন বলেন, ‘তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে তবে এখনও ডাকা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আগেও তাদের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারেরও কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলা পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।’

সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।’

জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা ব্যবসায়ীদের মানসিকতার একটি বিষয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।’