বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব সাবিহ উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আজ সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সাবিহ উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়।
খবরটি শুনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্তরা থেকে সাবিহ উদ্দিনের গুলশানের বাসায় ছুটে যান। তিনি তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতা জানান।
বিএনপি মহাসচিব এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবিহ উদ্দিন একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিএনপির যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন প্রিয় বন্ধুকে হারালাম। তার মৃত্যু আমার জন্য কষ্টদায়ক।’
ফখরুল এসময় সাবিহ উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাতও কামনা করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সাবিহ উদ্দিনের নামাজে জানাজা বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে হবে। এরপর তাকে বনানীতে তার বাবার কবরে দাফন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একই ব্যাচের ছাত্র ছিলেন ফখরুল ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ। ব্যক্তিগতজীবনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে সাবিহ উদ্দিন ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে সাবিহ উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর তিনি যোগাযোগমন্ত্রী এম মনসুর আলীর তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি জ্বালানি মন্ত্রী আকবর হোসেন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী সিরাজুল আলম খান ও রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এজেডএম এনায়েতুল্লাহ খানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সাল থেকে দুই মেয়াদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। পরে তিনি আবার তথ্য ক্যাডারে ফিরে আসেন।
২০০১ সালে সাবিহ উদ্দিন আহমেদ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান।
সচিব থেকে অবসর গ্রহণের পর সাবিহ উদ্দিন আহমেদ বিএনপির রাজনীতি সক্রিয়ভাবে যোগ দেন এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন।
২০১৭ সালে ব্রেন স্ট্রোক করার পর থেকে সাবিহ উদ্দিন আহমেদ রাজনীতিতে আর সক্রিয় থাকতে পারেননি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা