৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে স্পিকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
তার অন্য দুটি দাবি হলো ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করা।
আজ সোমবার বিকেলে মানিকমিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ, পদযাত্রা শেষে এ স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়া হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এর আগে বিকেল তিনটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গোলচত্বরে (খেজুর বাগান) জড়ো হন সোহেল তাজ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সোহেল তাজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ ও তুলে ধরাই নিশ্চিত করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যত- যা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংসদে উপস্থাপনের জন্যই আমরা স্মারলিপি দিচ্ছি।’
এর আগে সোহেল তাজ জানান, ২০ মিনিটের জমায়েত শেষে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তিনি
শ’ দুয়েক লোকবল নিয়ে দক্ষিণ প্লাজার সামনে ১২ নম্বর গেটে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় অনুমতি সাপেক্ষে সোহেল তাজ একাই স্পিকারের দপ্তরে যান।
মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালে ভোটের পর সরকার গঠনের সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
তবে পাঁচ মাস পরই পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজনীতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। তার সংসদীয় আসনে (গাজীপুর-৪) এখন সংসদ সদস্য তারই বোন সিমিন হোসেন রিমি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা