বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় চিকিৎসা সেবায় বাংলাদেশি চিকিৎসা বেশ অভিজ্ঞ ও দক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ বুধবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে অনুষ্ঠিত ১২তম আন্তর্জাতিক এবং ২য় এসিএনএস-বিএসএনএস হাইব্রিড কনফারেন্স ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের চিকিৎসকদের মেধা ও দক্ষতা বিশ্বের যে কোনো দেশের চিকিৎসকদের চেয়ে কম না৷ আমরা যে জোড়া মাথার যমজ শিশু রোকেয়া-রাবেয়ার অপারেশন করলাম, যদিও সেখানে হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা ছিল, কিন্তু সেই অপারেশনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের দেশের নিউরো সার্জনরা।’
‘প্রথম যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে বাচ্চা দুটির এন্ড্রোভাস্কুলার সেপারেশন হয়, সেই রাতের ৩টা-৪টা বাজে আমি নিজের চোখে দেখেছি আমাদের এনেস্থেটিক এবং নিউরো সার্জনদের ইচ্ছা, দক্ষতা এবং সামর্থ্য। যা আমাকে বিস্মিত করেছে।’
তিনি বলেন, আমাদের তো কোনো কিছুর অভাব নেই৷ আমাদের মেধা আছে। সেই মেধা দিয়ে তোমরা সর্বোচ্চ সেবা দাও, তোমাদের সুরক্ষা আমি দেব৷ ডাক্তার হিসেবে তোমাদের প্রতি এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।
তরুণ চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেখানে দেশের মানুষ চিকিৎসক সমাজকে সম্মান করে। আমরা যদি সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সার্ভিস দেই। রোগীদের সেবা দেই। মানুষ সম্মান করবে।
ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর আক্রমণকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের উপর যে আক্রমণ হয় তা ন্যক্কারজনক, খুবই বাজে। ভুল চিকিৎসার নাম করে চিকিৎসকদের মারধর, বিশেষ করে মেয়ে চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না৷ ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই। বাংলাদেশে একমাত্র ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার রাখে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল)।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্স প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন এর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, নিনস্ এর যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম প্রমুখ।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা