দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগেই জানা গিয়েছিল, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দেখেই বিশ্বকাপের ফাইনাল স্কোয়াড সামনে আনবে বিসিবি। তাই বিশ্বকাপের বিমান ধরতে হলে, মাঠে নিজের ১১০ ভাগ দিতে হবে ক্রিকেটারদের সেটা বেশ ভালো করেই জানেন তারা। এবং করলেনও সেটাই।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই নজর ছিল পেসার অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের দিকে। কারণ ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস পরে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। বিশ্বকাপের আগে কেমন করেন তিনি সেটাই দেখার বিষয় ছিল। তবে ইনজুরি সাইফুদ্দিনকে দমাতে পারেনি, ফিরেছেন আরও ধারাল হয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রমাণ করলেন সেটাই। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে শিকার করলেন তিন উইকেট।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এল বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাকাপাকির ব্যাপারটাও। সাইফুদ্দিন জানালেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রায় ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক মাঠে ফিরলাম। আমার জন্য বিষয়টা কঠিন ছিল। যদি আমি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে চাই, আমার জন্য এই পারফরম্যান্সটার বিকল্প নেই।’
কিন্তু বিশ্বকাপের আগে তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে সাইফুদ্দিনের। আগের সিরিজে বাজে পারফর্ম করে বাদ পড়ার রেকর্ডও আছে। সাইফউদ্দিন স্মরণ করলেন সেই স্মৃতিও, ‘এর আগে ২০২১-২২ (আসলে ২০২২) বিশ্বকাপে আমি শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ি পারফরম্যান্সের কারণে। এ জন্য অনেক সিরিয়াস ছিলাম। পারফর্ম করতে চাচ্ছিলাম।’
অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট বেশ শক্তিশালী। একাধারে পারফর্ম করে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন পেসার। তাই দলে টিকে থাকতে হলে প্রতিযোগীতায় নামতে হবে সতীর্থদের সঙ্গে। ছাড়িয়ে যেতে হবে তাদের। এমনটা জানেন সাইফুদ্দিনও, ‘আজকে অনেক নার্ভাস ছিলাম। এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি, তবে নার্ভাস ছিলাম না। আমার জন্য ভালো করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু দুই ম্যাচ পরে ফিজ আসবে। একাদশ কী হবে না হবে, ম্যানেজমেন্ট জানে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার। আরও ভালো করতে পারলে ভালো লাগত। আরও ৪টা ম্যাচ বাকি। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’
সর্বশেষ বিপিএলেও দুর্দান্ত ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ফরচুন বরিশালের ট্রফি জয়ে বড় অবদান ছিল এ পেস অলরাউন্ডারের। যেমন বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত তেমনি ব্যাট হাতেও। যেটা সাইফুদ্দিনের বড় অস্ত্র। তবে এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে তার জন্য বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়াটা কঠিন হওয়ার কথা নয়।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা