তাকে সাম্প্রতিক ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার বললেও বোধ হয় খুব একটা ভুল হবে না। ব্যাট হাতে চোখ জুড়ানো সব শটে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ম্যাচ শেষ করে আসার সক্ষমতা তার আছে। এর সঙ্গে বল হাতেও বেশ কার্যকরী; গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তুলে নিতে পারেন উইকেট কিংবা রানের গতি টেনে ধরে চেপে ধরতে পারেন প্রতিপক্ষকে। এর সঙ্গে বোনাস হিসেবে যোগ করুন দুর্দান্ত ফিল্ডিং স্কিল। এভাবেই কিউইদের ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জেমস নিশাম (জিমি নিশাম)।
জন্মটা ১৯৯০ সালে নিউজিল্যন্ডের অকল্যান্ড শহরে। যে দেশে ক্রিকেটটা ঠিক কেউ সিরিয়াসলি খেলে না। এমনিতেই জনসংখ্যা অনেক কম। তার ওপর রাগবির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, ফুটবলটাও কম নয়। তারপরও যুগে যুগে তাসমান সাগরপাড় থেকে উঠে এসেছে কালজয়ী সব ক্রিকেটার। সেই মশালই সামনে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন জিমি নিশামরা।
ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরুটা অকল্যান্ডের হয়ে হলেও সাফল্যের শুরুটা হয় ওটাগোতে দল পরিবর্তন করার পর। ঘরোয়া ক্রিকেটে একই ম্যাচে চল্লিশোর্ধ্ব রান এবং পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ডাক আসে জাতীয় দল থেকে।
স্কট স্টাইরিশ পরবর্তী যুগে এমন কাউকেই খুঁজছিল নিউজিল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচেই সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন নিশাম। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেন অপরাজিত ১৩৭ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির ধারা অব্যাহত রাখেন পরের ম্যাচেও, বনে যান ইতিহাসের প্রথম কিউই ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার। অবশ্য তার আগেই নিশামের অভিষেক হয়ে গেছে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে।
২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান। পরের বছরই গায়ে জড়ান ওয়ানডে দলের জার্সিও। তবে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অভিষেকটা টেস্টের মতো হয়নি নিশামের।
দুর্দান্ত শুরুর পরও টেস্টে নিজেকে থিতু করতে পারেননি এ কিউই অলরাউন্ডার। বরং সাদা বলের ক্রিকেটেই তার পরিচিতি বেশি। সেখানেই নিজেকে থিতু করে নিয়েছেন।
পুরো নাম- জেমস ডগলাস শিয়াহ্যান নিশাম।
জন্ম- ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ সাল।
জন্মস্থান- অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড।
রাশি: কন্যা।
প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল।
প্রিয় খাবার: ভেজিটেরিয়ান ডিশ।
প্রিয় পানীয়: লেমন জুস।
প্রিয় রং: সাদা।
প্রিয় ক্রিকেটার: ড্যানিয়েল ভেট্টরি।
প্রিয় ক্রিকেট দল: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।
প্রিয় সতীর্থ: লুকি ফার্গুসন, কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি।
প্রিয় ফুটবলার: লিওনেল মেসি।
প্রিয় ফুটবল দল: বার্সেলোনা এফসি।
প্রিয় গাড়ি: অ্যাস্টন মার্টিন ভ্যান্টেজ।
প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা।
প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড: নিউ ব্যালেন্স।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা