দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ। দেশটিতে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের কারণে সংকট আরও বাড়বে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি বলেছেন, ভয়ংকর সহিংসতার আগ্নেয়গিরির মুখে সুদান। দেশটিতে লড়াই শেষ হওয়ার কোনো সংকেত নেই। আর এই লড়াইয়ে চলছে ভয়ংকর বাড়াবাড়ি। ধর্ষণ, অত্যাচার ও জাতিগত সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। সহিংসতার জন্য ত্রাণ দেওয়া যাচ্ছে না।
ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানিয়েছেন, সুদানের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। তাদের কাছে ত্রাণ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। তারপর থেকে ৯০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। মারা গেছে প্রচুর মানুষ। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, পুরো দেশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লেও পশ্চিম দারফুরে ভয়ংকর লড়াই চলছে।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্লেমেন্টাইন কোয়েটা-সালামি জানান, গত সপ্তাহে এল ফাশারে প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে। প্রচুর মানুষ মারা গেছে, অনেকে ঘরছাড়া হয়েছে। সামনে আসছে বর্ষা। এ সময় যাতায়াতে আরও অসুবিধা হবে। কৃষকরা বীজ না পেলে তারা চাষ করতে পারবে না।
তার মতে, সুদানের মানুষের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পোর্ট সুদান থেকে ট্রাকে করে ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী ৩ এপ্রিল পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তা এখনো এল ফিশারে পৌঁছায়নি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা