চলতি মে মাসে গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। গতকাল রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা ছিল।
ভারতের কেরালার উপকূলে বিস্তৃত মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় এর প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই আকাশ মেঘলা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অনেক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও ঝরেছে। এই বৃষ্টি সারা দেশে আরও দু-তিন দিন চলবে বলে জানায় অধিদপ্তর। এই বৃষ্টির পরই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা।
আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে- রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এরপর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি. মি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই। রাতে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সোমবার থেকে দেশে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। এ সময় সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে লঘুচাপটি কোন দিকে যাবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেবে কি না বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এখনো সাগর শান্ত আর নিম্নচাপ হবে কি না তা নিশ্চিত নয়, তাই বড় সাইক্লোন হবে কি না বলা যাচ্ছে না।’
এপ্রিল ও মে মাসে সাধারণত দেশে সাইক্লোন হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন সৃষ্টি হলে এর প্রভাব বাংলাদেশ, ভারতসহ আশপাশের দেশগুলোর ওপর পড়ে। যদি ভারতের দিকে যায়, তাহলে বাংলাদেশে প্রভাব কম থাকে বলে উল্লেখ করেন এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি আরও জানান, ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত হলে হিট এলার্ট কিছুটা শিথিল হবে। তবে কিছু কিছু জেলায় হিট এলার্ট জারি থাকবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা