ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং স্তম্ভের নায়ক তিনি। ক্যারিবীয় দলের মিডল অর্ডারে প্রাণশক্তি তিনি। দলের প্রয়োজনে যেমন ব্যাট চালাতে পারেন পাগলাঘোড়ার মতো। আবার ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে খেলতে পারেন ঠাণ্ডা মাথায়ও। নিজের দিনে ঘুম হারাম করে দিতে পারেন যেকোনো বোলারের। হাঁকাত পারেন বিশাল বিশাল সব ছক্কা। ক্যারিবীয় রাজ্যের আরেক পাওয়ার হাউস তিনি। বলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা নিকোলাস পুরানের কথা।
অথচ ২০১৬ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় জীবনটাই হারাতে বসেছিলেন নিকোলাস পুরান। বাইশ গজে আর কখনো ফিরতে পারবেন না এই তারকা এমনটাই আশঙ্কা করেছিল সবাই। তবে পুরান ফিরেছেন, বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করছেন গোটা বিশ্বকে।
১৯৯৫ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কুভার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা ম্যাকবিনে জন্ম নিকোলাস পুরানের। ক্রিকেটের হাতেখড়িও সেখানেই। স্কুলে পড়ার সময়ই হাতে ধরেছিলেন ব্যাট; এরপর আর ছেড়ে দেননি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ভাবা হয় তাকে। ১৬ বছর বয়সেই অভিষেক হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দলে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই দেখিয়েছিলেন প্রতিভার ঝলক। তার পরিণত ব্যাটিং চমকে দিয়েছিল সবাইকে। দেখতে মাঝারি গড়নের হলেও বিশাল সব ছক্কা হাঁকাতে তার জুড়ি মেলা ভার।
ফলে অল্প বয়সেই বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছেন এই তারকা। আইপিএল, বিপিএল, পিএসএল কিংবা সিপিএল, সব খানেই সরব উপস্থিতি এই তারকার। মজার ব্যাপার হলো, কেবল ব্যাটিং কিংবা উইকেট সামলানো নয়, দলের প্রয়োজনে পার্টটাইমার হিসেবে বল হাতেও দারুণ কার্যকরী এই তারকা।
তবে বাকি ক্যারিবীয় তারকাদের সঙ্গে পুরানের পার্থক্য হলো জাতীয় দলের খেলার সঙ্গে কখনো আপস করেননি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে শত ব্যস্ততা থাকলেও জাতীয় দলের ডাকে সব সময়েই ছুটে গেছেন।
বাঁ-হাতি এ উইকেট রক্ষক-ব্যাটারের জাতীয় দলে অভিষেক ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। এরপর প্রায় তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেতে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূরণ হয় সেই আশাও। তবে এখনো গায়ে জড়ানো হয়নি টেস্ট দলের জার্সি।
পুরো নাম : নিকোলাস পুরান
জন্ম : ২ অক্টোবর ১৯৯৫ সাল
জন্মস্থান : কুভা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
রাশি: তুলা
প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল
প্রিয় খাবার: ফ্রাইড চিকেন
প্রিয় পানীয়: লেমন জুস
প্রিয় রং: সাদা
প্রিয় ক্রিকেটার: অ্যালিস্টার কুক, জ্যাক ক্যালিস
প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রিয় সতীর্থ: লেন্ডল সিমন্স, সুনীল নারিন
প্রিয় ফুটবলার: লিওনেল মেসি
প্রিয় ফুটবল দল: এফ সি বার্সেলোনা
প্রিয় গাড়ি: ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো
প্রিয় স্টেডিয়াম: কুইন’স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
প্রিয় স্থান: পোর্ট অব স্পেন
প্রিয় শখ: ভ্রমণ, গান শোনা
প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড: নাইকি
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা