ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে মোংলা বন্দরে নিজস্ব এলার্ট ‘ফোর’ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রয়েছে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশী জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে দূর্ঘটনা এড়াতে বন্দরে ৬টি বাণিজ্যিক জাহাজ নিরাপদে নোঙ্গরে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রোমেলের প্রভাবে আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দমকা বাতাসও বইছে। ফলে আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন ও পশুর নদীর পাড়ে বসবাসকারি উপকূলবাসিদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে। এরইমধ্যে অনেকে আনাও হয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখনও যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি তাদেরকে আনার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে সতর্কতা মাইকিং প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তারা সুন্দরবনের পাশেই বসবাস করেন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন বলেন, 'তার ইউনিয়নে ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই উপকূলবাসীকে আনা হচ্ছে। ২৫টি কেন্দ্রের জন্য খিচুড়িসহ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি'।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসীর ইবনে মহসীন জানান, 'গতকাল শনিবার (২৫মে) থেকেই তারা সতর্ক রয়েছেন। উপকূলবাসীকে প্রতি মুহুর্তে সচেতনতার করার লক্ষ্যে সতর্কমূলক প্রচার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রোববার ভোর থেকে মোংলার পশুর নদী ও সুন্দরবন তীরবর্তী এলাকায় তাদের সদস্যরা অবস্থান করছে। যে কোন পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।’
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা