এবার কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত যাচ্ছে মেট্রোরেল। জুন থেকেই এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। এমআরটি চারের আওতায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সময় লাগবে ১৫ মাস। এরপরই প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে। ঢাকার ভেতরে পাতাল পথে আর রাজধানীর বাইরে উড়াল পথে চলবে এই রুটের মেট্রোরেল।
জানা গেছে, এমআরটি লাইন-৪ (মেট্রোরেল-৪) এর আওতায় রাজধানীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরকে যুক্ত করা হবে। কমলাপুর থেকে নতুন এই পথটি যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, সাইনবোর্ড, চট্টগ্রাম রোড ও কাঁচপুর হয়ে যাবে মদনপুর পর্যন্ত। এই পথের সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে এই জুনে। খরচ পুরোটাই অনুদান হিসেবে দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। কাজটি করবে দক্ষিণ কোরিয়ার ডোহোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, জুনের প্রথম দিক থেকেই মোবিলাইজেশন শুরু হবে। দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানিটির জন্য অফিস নিতে হবে। প্রয়োজনীয় অফিস ও লোকবলের সংস্থানের পর দ্রুতই কাজটি শুরু হবে।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর মেট্রো লাইন নির্মাণের কাজ শেষ করার টার্গেট অনেক আগেই নেওয়া। যদিও মূল নির্মাণে কাকে কারা অর্থায়ন করবে সেটি এখনো ঠিক হয়নি। সংশ্লিষ্টদের আশা, সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হওয়ার আগেই অর্থায়নের বিষয়টিও নিশ্চিত হবে।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক আরও জানান, সম্ভাব্যতা যাচাই হয়ে গেলে একটা কনক্রিট (চূড়ান্ত) জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। তার সঙ্গে বেসিক ডিজাইন হয়ে গেলে সম্ভাব্য খরচও জানা যাবে। তখন বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও সরকারের সঙ্গে অর্থায়নের বিষয়ে কথা বলা যাবে।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এই কাজ শেষ হলে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম হাব হয়ে উঠবে কমলাপুর। যেখান থেকে উত্তরা, এয়ারপোর্ট ও টঙ্গী পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য থাকবে আরও তিনটি মেট্রো লাইন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা