আপডেট : ১ জুন, ২০২৪ ১৬:০৩
আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে চান সাকিব
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে চান সাকিব

২০০৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের বিশ্ব আসর; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় নবম আসর। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবগুলো আসরেই মাঠে নেমেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের মঞ্চে সাকিবের পরিসংখ্যানও বেশ ভালো। সবমিলিয়ে বলা যায় ক্রিকেটের এ ফরম্যাটটাকে বেশ উপভোগই করেন তিনি।

সময়ের হিসাব বলছে সাকিবের বয়সটা পেরিয়েছে ৩৬। বিশ্বকাপের আরেকটা আসর আসতে বাকি আরও দুই বছর। এ সময়ে হয়তো অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার। তবে সাকিব খেলতে চান আরেকটি বিশ্বকাপ। বিসিবির ‘রেড-গ্রিন স্টোরি’তে জানালেন সেটাই।

হাসতে হাসতে সাকিব বলেন, ‘প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। মাত্র দুজন খেলোয়াড়- আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। আশা করব আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।’

তবে বিশ্বকাপে ব্যক্তি সাকিবের তেমন কোনো লক্ষ্য নেই। দেশের হয়ে অবদান রাখাটাই তার মুখ্য বিষয়, ‘আমার নামের পাশে আমি কিছু দেখতে চাই না। একটি জিনিসই চাই যেন বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে পারি। এই বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।’

বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আবির্ভাবের ফলে অন্য দুই সংস্করণের চেয়ে টি-টোয়েন্টিই এখন দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। এমন পরির্তনকে সাকিব কীভাবে দেখছেন? সে প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা ওয়ানডেরই বর্ধিত সংস্করণ। ওভার কাটলে যেটা হতো সেটাই। অনেক রোমাঞ্চকর। দর্শকরা অনেক পছন্দ করেন। আমি একটি জিনিসই শুধু মনে করি যে, ব্যাট ও বলের যেন সমান প্রতিযোগিতা এখানে থাকে। যেকোনো একতরফা টুর্নামেন্টটা যেন না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনোই সেটা হয় না। আমি মনে করি এবারও একই রকম হবে।’

গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের দুটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে আর দুটি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। দর্শক সমর্থন নিয়ে সাকিব বলেন, ‘প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক সেখানে অপেক্ষা করছে। আশা করি তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে আমাদের। তাদের এই সমর্থন আমাদের কাজে আসবে এবং আমরা ভালো ফল পেতে সমর্থ হবো।’

কন্ডিশন নিয়ে সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।’