আপডেট : ৬ জুন, ২০২৪ ২১:৩৯
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৮ ফেরি ও ২০ লঞ্চ 
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৮ ফেরি ও ২০ লঞ্চ 

ছবি: দৈনিক বাংলা

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্নে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। এ ছাড়া পশুবোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার হবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

তিনি বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদ-পরবর্তী কাজে ফেরা যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে পাঁচ দিন পদ্মা নদীতে বালুবাহী ব্লাকহেড চলাচল বন্ধ থাকবে, ঈদের আগে ১৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ৬ দিন দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, কাঁচামালবাহী ট্রাক পার হতে পারবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। ঈদের সময় লঞ্চে কোনো পণ্য পরিবহন করা যাবে না। দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। অস্থায়ী পাবলিক টয়লেট স্থাপন করতে হবে, মাতৃদুগ্ধের ব্যবস্থা থাকতে হবে। রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট টাঙানোর পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদের কটি পরিহিত নিশ্চিতকরণ, টার্মিনালে যানবাহন প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এ ছাড়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে এবং চারটি ঘাট সচল থাকবে। পশুবোঝাই ট্রাকের ঘাটে গিয়ে যেন অপেক্ষা করতে না হয় সে বিষয়ে নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘাটে চাঁদাবাজ, দালাল নির্মূলে ঘাট এলাকাসহ সড়কে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, ভোগান্তিবিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমে এসেছে। তারপরও কোরবানি ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপের পাশাপাশি এবার পশুবাহী ট্রাক নদী পারাপার হবে। ফলে গত ঈদুল ফিতরে যেমন ঘাট দিয়ে মানুষ সহজ ও নির্বিঘ্ন পারাপার হয়ে গন্তব্যে যেতে পেরেছে, এবারও ঈদুল আজহায়ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে। তারপরও সব বিষয়ে জেলা প্রশাসন সর্বক্ষণিক নজরদারি করবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিদ সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই মো. ফরিদ উদ্দিনসহ হাইওয়ে পুলিশ, বাস মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতির নেতারা।