লোকসভা নির্বাচনে জিতেই বিব্রত, অপমানিত হতে হলো বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে। বিমানবন্দরে এক নিরাপত্তারক্ষীর হাতে চড় খেয়েছেন ভারতের নবনির্বাচিত এই সংসদ সদস্য। ঘটনায় সারা ভারতে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ওই সৈনিক। এদিকে চড়কাণ্ডে ফের সরব হলেন কঙ্গনা। যারা এই চড়কাণ্ডকে সমর্থন করে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের মহিলা নিরাপত্তাকর্মী কুলবিন্দর কৌরের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রতিই যেন বিষ উগড়ে দিলেন কঙ্গনা। শনিবার সকাল সকাল এক্স হ্য়ান্ডেলে ফের রণংদেহী মেজাজে দেখা গেল কঙ্গনাকে। তার স্পষ্ট জবাব, ‘মহিলা নিরাপত্তাকর্মীকে সমর্থন করা মানে ধর্ষক, ক্রিমিনালদের সমর্থন করা।’
কঙ্গনা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক ধর্ষক, খুনি, চোরদের অপরাধের নেপথ্যে একটা আবেগ, মনস্তত্ব, আর্থিক কারণ থাকে। কোনো অপরাধই বিনা কারণে ঘটে না। কিন্তু যদি আপনি এই ক্রিমিনালদের সমর্থন করেন, ব্যক্তিগত পরিধিতে তাদের প্রবেশকে সমর্থন করেন, তাহলে কোথাও গিয়ে আপনিও ধর্ষণ, জালিয়াতিকে সমর্থন করছেন। মনের মধ্যে এত ক্ষোভ, হিংসাকে জমিয়ে রাখবেন না। মুক্ত করুন নিজেকে।’ অন্যদিকে, মহিলা নিরাপত্তাকর্মী কুলবিন্দর কৌরের মা সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘তার মেয়ে যা করেছে তা একেবারে সঠিক। কঙ্গনার সঙ্গে নাকি এমনটাই করা উচিত ছিল।’
বৃহস্পতিবার দিল্লি যাওয়ার পথেই চণ্ডীগড়ে এই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে। এরপরই ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা রানাউত বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন পাঞ্জাবে বাড়তে থাকা সন্ত্রাস নিয়ে। কী করে এদের সামলাব আমরা?’ কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন কুলবিন্দর কৌর? প্রশ্নের মুখে পড়তেই তার সাফ জবাব, ‘কঙ্গনা বলেছিলেন ১০০ টাকার জন্য কৃষকরা ওখানে বসে আছে। উনি কি গিয়ে বসেছিলেন সেখানে? কঙ্গনা যখন এহেন কটূক্তি করছিলেন কৃষক আন্দোলন নিয়ে, তখন আমার মা শামিল ছিলেন ওই প্রতিবাদে।’
বোনের সমর্থনে মুখ খুলেছেন তার ভাই শের সিং মহিবালও। তার কথায়, ‘কঙ্গনার পার্স চেকিংয়ের সময়ই ঘটনাটা ঘটেছে বলে জানতে পারলাম। উনি বলেছিলেন, পাঞ্জাবের আন্দোলনরত মহিলারা ১০০ টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বাকবিতণ্ডার মাঝে মাথা ঠাণ্ডা না রাখতে পেরেই হয়তো আমার বোন চড় কষিয়েছে।’ গ্রেপ্তার হয়েছেন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের মহিলা নিরাপত্তাকর্মী কুলবিন্দর কৌর।
কঙ্গনার চড়কাণ্ডে বলিউডের খুব কমজনই মুখ খুলেছেন। এমনকি, বলিউডের চুপ থাকায় বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন কঙ্গনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্টই প্রতিবাদ করছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এমন ঠাণ্ডা আচরণে। তবে কঙ্গনার পাশে না থেকেও গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। এক সময় শাবানা আজমির স্বামী গীতিকার জাভেদ আখতারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে ছিলেন কঙ্গনা। সেই কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন শাবানা আজমি।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা