নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্রলারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফখরুদ্দিন নামে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পাগলা নৌ থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নদীতে তল্লাশি চালিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো দুইজন। তবে এ ঘটনায় এখন আর কেউ নিখোঁজ রইলো না।
পাগলা নৌ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ইয়ার আলী আজ শুক্রবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার নিখোঁজ একজন ব্যক্তির সন্ধানে বুড়িগঙ্গা নদীতে তল্লাশি চলাকালে রাত ১০টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল সংলগ্ন ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করি। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে ফখরুদ্দিনের মরদেহ বলে শনাক্ত করেন। তবে স্বজনরা বিনাময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের আবেদন জানালে সবার সম্মতিক্রমে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে পাগলা নৌ থানার ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) কামাল হোসেন বলেন, ফখরুদ্দিন নামে উদ্ধারকৃত মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোঁড়া চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার পেট থেকে নাড়িভূঁড়িও বের হয়ে ছিল। তবে মুখমণ্ডল ছিল অক্ষত অবস্থায়।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে আগুনের ঘটনায় এমভি মনপুরা নামে জ্বালানি তেলবাহী ট্রলারটিতে থাকা পাঁচজনের মধ্যে দগ্ধ হয়ে খোকন নামে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। কামাল নামে আরও একজন দগ্ধ অবস্থায় এবং বাকের মাঝি নামে ট্রলারের চালক সুস্থ উদ্ধার হন। পরে দগ্ধ কামালকে তাৎক্ষণিক রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তবে এ ঘটনায় বাবুল মোল্লা ও ফখরুদ্দিন নামে দুইজন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিখোঁজ বাবুল মোল্লাকে পাওয়া গেলে তাকে জেলা সদরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। ওই রাতেই স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপরও ফখরুদ্দিন নামে একজন ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা