চীনে চোর ধরতে পুলিশকে সাহায্য করেছে দুটি মশা। চোরকে কামড়ালে সেই মশার রক্ত থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে চোর পাকড়াও করেছে পুলিশ। খবর চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।

ঘটনা দক্ষিণপূর্ব চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের ফুজৌ শহরের এক বাড়িতে। গত ১১ জুন বেলা একটার দিকে চোর ঢোকে। ফুজৌ পাবলিক সিকিউরিটির প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বেশ কিছু মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় চোর।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূল ফটক ভেতর থেকে বন্ধ পায়। চোর বেলকনি দিয়ে ঢুকেছিল বলে পরে বুঝতে পারেন তারা।

মজার ব্যাপার হলো, বাড়িতে ঢুকে ডিম আর নুডুলস রান্না করে খেয়েছে চোর। বাড়ির মালিকের শয়নকক্ষে কম্বল গায়ে রাতও কাটিয়েছে। এমনকি মশার কয়েলও জ্বালিয়েছিল। ঘরে দুটি মরা মশা এবং দেয়ালে রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিশ।

ওই বাড়িতে নতুন রঙ করা হয়েছিল। দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে পুলিশ প্রথমেই সন্দেহ করে সেগুলো নিশ্চয় চোরের কাজ। কারণ বাড়ির মানুষ হলে নিশ্চয় দেয়াল পরিষ্কার করে ফেলত।

সেই রক্ত সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠায় পুলিশ। পরীক্ষায় ‘চাই’ নামের এক অপরাধীর সঙ্গে হুবহু মিলে যায় নমুনা। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ জুন চোর পাকড়াও করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করে, সে সঙ্গে আরও চারটি চুরির ঘটনার দায়ও স্বীকার করে চোর।

চীনে ডিএনএ পরীক্ষায় অপরাধী শনাক্তের হার বেড়েছে। পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং পুলিশ গত মাসে ৬৯ বছর বয়সী এক নারীকে পাকড়াও করে। মুখের লালা পরীক্ষা করে বুঝতে পারে তিনিই অপরাধী। সেই বৃদ্ধা উঁচু দালানের ওপর থেকে ভুট্টার অবশিষ্টাংশ ছুঁড়ে দিলে আট মাসের এক শিশুর মাথায় গিয়ে আঘাত করে। চীনের আরেক শহর চংকিং পুলিশের তথ্য অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১০ শতাংশের বেশি মামলায় অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।