আজ থেকে পঁচিশ বছরেরও বেশি সময় আগে চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ অভিনীত বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত সিনেমা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ মুক্তি পেয়েছিল। এই সিনেমার মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রের একজন সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং সিনেমাতে প্রথম প্লে-ব্যাক করার সুযোগ হয় ওপার বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর। ফেরদৌসের লিপে নচিকেতার গাওয়া ‘সোনালি প্রান্তরে’ গানটি সেই সময় দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
সেই থেকে আজকের প্রজন্ম পর্যন্ত এই গান এখনো সমানই জনপ্রিয় বলা চলে। তবে বাংলাদেশে কখনো কোনো অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে ফেরদৌস-নচিকেতার একসঙ্গে হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরঝিলের এম্পি থিয়েটারে তরুণদের জন্য সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্য শিল্পীদের পাশাপাশি সংগীত পরিবেশন করেন নচিকেতা। এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নায়ক, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। নচিকেতা যখন সংগীত পরিবেশন করছিলেন তখনই একটা সময় মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয় ফেরদৌস আহমেদকে। আর এরই মধ্য দিয়ে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পর ঢাকায় একই মঞ্চে দাঁড়ানোর সুযোগ হলো নচিকেতা ও ফেরদৌসের। সময়টা ফেরদৌসের কাছে ঐতিহাসিক এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার মতোই হয়ে উঠেছিল।
ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘যেদিন অনুষ্ঠান ছিল সেদিনই আমি সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরি। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারব কি না। কারণ আকাশের পরিস্থিতিও ভালো ছিল না। কিন্তু শেষমেশ অনুষ্ঠানে গেলাম এবং গিয়ে দেখলাম যে তরুণদের উপস্থিতিতে ভরপুর থিয়েটার। মূলত তরুণদের অনুপ্রেরণা দিতেই আমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। তবে নচিকেতা দাদার সঙ্গে যেহেতু সম্পর্কটা ভীষণ আবেগের এবং হঠাৎ বৃষ্টি দিয়েই আমাদের শুভ পথচলা, তাই তার পাশে দাঁড়িয়ে হঠাৎ বৃষ্টির কথা বিশেষত সোনালি প্রান্তরে গানটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে আবেগাপ্লুত হয়ে যাচ্ছিলাম। সেই কবে এ গানের জন্ম। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম এখনো এ গান উপভোগ করছে। বিষয়টা সত্যিই অনেক অনেক ভালোলাগার।’
নচিকেতা চক্রবর্তী বলেন, ‘ধন্যবাদ ফেরদৌসকে। ধন্যবাদ আয়োজকদের। মাঝে এতটা বছর পেরিয়ে গেছে ভাবলেই বিস্মিত হই।’ নচিকেতা আগামী ২৬ জুলাইও ঢাকাতে সংগীত পরিবেশন করবেন।
এদিকে ফেরদৌস অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ সিনেমা হচ্ছে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন পূর্ণিমা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা