আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০২৪ ১৫:২৩
মুর্শিদার ব্যাটিং ঝড়ে সেমির গল্প লিখল বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুর্শিদার ব্যাটিং ঝড়ে সেমির গল্প লিখল বাংলাদেশ

নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে এ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া বলে সেই আশাও প্রবল ছিল বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে। কারণ শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান ঢের পিছিয়ে। দুই দলের সেই পার্থক্য দেখা গেল মাঠের খেলায়ও। মুর্শিদা-জ্যোতিদের কাছে পাত্তাই পায়নি মালয় নারীরা। বাংলাদেশের রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে পিষ্ঠ হয়েছে তারা।

গতকাল ডাম্বুলায় নারী এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১১৪ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯১ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা থামিয়ে দিয়েছে ৭৭ রানে। এই জয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠল বাংলাদেশের মেয়েরা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের ফেভারিট ও রেকর্ডবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।

বাংলাদেশের জয়ের ভিতটা মূলত তৈরি হয়ে যায় প্রথম ইনিংসেই। ওপেনিংয়ে নেমে মুর্শিদা খাতুনের দুর্দান্ত ব্যাটিং আর শেষদিকে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ঝোড়ো ইনিংসে ১৯১ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। এরপর বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে ১০০ রানের গণ্ডিও পার হতে পারেনি মালয়েশিয়া।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার দিলারা ও মুর্শিদা। মাত্র ৭.৪ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে ৬৫ রান জমা হয়। ২০ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন দিলারা। দ্বিতীয় উইকেটে মুর্শিদার সঙ্গে জুটি গড়ে ঝড় তোলেন জ্যোতি। ১৭তম ওভারের শেষ বলে মুর্শিদার বিদায়ের আগে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৪ রান। মাত্র ৫৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮০ রান করেন মুরশিদা।

এদিন অর্ধশতকের দেখা পান অধিনায়ক জ্যোতিও। শেষের দিকে রীতিমতো ব্যাটে সাইক্লোন তোলেন তিনি। মাত্র ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এতে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১ রানের।

এরপর বোলিংয়েও দুর্দান্ত পারফর্ম করেন নাহিদা-জাহানারারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেন মালয়েশিয়ার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শুরুটা করেন দীর্ঘদিন পরে দলে সুযোগ পাওয়া অভিজ্ঞ বোলার জাহানারা। তবে আলো ছড়ান নাহিদা আক্তার। ৪ ওভারে স্রেফ ১৩ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলমের শিকার এক উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সাবিকুন নাহার জেসমিন, রাবেয়া খাতুন, রিতু মনি ও স্বর্ণা আক্তারও।