কর্মবিরতি শেষে সিলেটের থানাগুলোতে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। ফলে সচল হতে শুরু করেছে এখানকার থানাগুলো। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশরাও আজ থেকে কাজে ফিরেছেন।
আজ সোমবার দুপুরে সিলেটের কতোয়ালি থানায় দেখা যায়, এখনও ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে পুরো থানা। সবখানেই ভাঙচুরের চিহ্ন। এরমধ্যে থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রয়েছেন আনসার সদস্যরাও।
থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, আমাদের থানায় ৭৫ জনের মতো স্টাফ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২০/২৫ জনের মতো কাজে ফিরেছেন। বাকিরাও দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজকে অনেকে আসতে পারেন নি। আজকে এখন পর্যন্ত থানায় একটি নিখোঁজের জিডি হয়েছে।
থানার একাধিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, কাজে যোগ দিলেও তারা এখনও আতংকিত। ফলে এখনই থানার বাইরে ডিউটিতে যেতে আগ্রহী নন তারা।
তবে, নগরের বিভিন্ন মোড় ঘুরে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সংখ্যা অনেক কম। সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে সড়কে যান চলাচলও কম। কয়েকটি মোড়ে শিক্ষার্থীরাও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, নগরের সব থানার কার্যক্রমই শুরু হয়েছে। সেবাগ্রহীতারাও আসছেন। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের কার্যালয়ে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে- মেরামত করে সবকিছু ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। ইতোমধ্যে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কার্যালয়ের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। কোনো ফাইল-পত্র বাঁচেনি। মাসখানেক সময়ের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।তবে সিলেট জেলার সব থাবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান এসপি।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ৫ আগস্ট বিকেলে এসপি অফিসেসহ সিলেটের প্রায় সবগুলো থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা