অবশেষে সব সংশয় দূর করে নবযাত্রা শুরু হচ্ছে মেট্রোরেলের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বন্ধ হওয়া মেট্রোরেল নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কর্মীদের কর্মবিরতি শেষে আজ রোববার থেকে চলাচল শুরু করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত মেট্রোট্রেন থামবে না। এই দুটি স্টেশনে যাত্রীসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল চলার কথা জানায়।
ডিএমটিসিএলের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া গতকাল নিশ্চিত করেছেন, রোববার থেকে মেট্রোরেল চলবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনাকারী দলের সঙ্গে ডিএমটিসিএলের বৈঠক চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ বিকেলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কোটা সংস্কার ঘিরে আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চালানো হয়েছে। লাইনে কোনো সমস্যা বা ত্রুটি ধরা পড়েনি। কিছু কারিগরি ইস্যু নিয়ে কাজ করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) মো. জাকারিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি সেদিন জানান, দুদিন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এতে কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। শনিবার চূড়ান্ত ট্রায়াল দেওয়া হবে। এরপর পুরোদমে চালানো হবে মেট্রোরেল।
ডিএমটিসিএলের সূত্র সম্প্রতি জানা গেছে, লাইন, কোচ ও সংকেতব্যবস্থা- মেট্রোরেলের সবই ঠিক আছে। এরপরও মেট্রোরেল চালু না হওয়ার কারণ ছিল নিচের দিকের কর্মীদের কর্মবিরতি। বড় কর্মকর্তারা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ এনে কর্মবিরতিতে যান মেট্রোরেলের কর্মচারীরা। এ জন্যই কারিগরি কোনো সমস্যা না থাকার পরও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা