আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:২৫
বন্যার্তদের পাশে হানিফ সংকেত
বিনোদন প্রতিবেদক

বন্যার্তদের পাশে হানিফ সংকেত

ফাইল ছবি

দেশের নন্দিত উপস্থাপক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত। প্রতি বছরই বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকেন তিনি। দুই বছর আগে ২০২২ সালে সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যায় বানভাসিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জনপ্রিয় এই উপস্থাপক। শুধু নিজিই বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াননি পাশাপাশি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বানও জানিয়েছেন দেশের সামর্থ্যবান ও বিত্তবান মানুষের প্রতি।এবার ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের ১৫টির মতো জেলা ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বন্যার্ত মানুষের পাশে রয়েছেন জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত।

এ প্রসঙ্গে হানিফ সংকেত তার ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্রিয় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর অংশ আজ ভয়ানক বিপর্যস্ত। পানিতে তলিয়ে গেছে বেশকিছু জেলার গোটা জনপদ। প্রবল জলস্রোতে ভেসে গেছে অসংখ্য মানুষ, ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ, গবাদি পশুপাখি। মৃত্যুর অতল তলে হারিয়ে গেছে অনেক অমূল্য প্রাণ। অগণিত মানুষ সর্বস্ব খুইয়ে এখনো অবর্ণনীয় কষ্টের মাঝে দিনাতিপাত করছেন। খাবার নেই, বস্ত্র নেই, নেই মাথা গোঁজার এতটুকু ঠাই। বন্যাদুর্গত এসব অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বাংলাদেশ। মানুষকে বাঁচাতে জেগে উঠেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সব ছাত্র-জনতাসহ আপামর নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী, ধনী-গরিব, হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাই।’

হানিফ সংকেত ‘ইত্যাদি’ পরিবারের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়ে লেখেন, ‘এদের মধ্যে কেউ হজের জমানো টাকা অনুদান দিচ্ছে, কেউ সাইকেল কেনার জন্য তার জামানো টাকা অনুদান দিচ্ছে, কেউ কেউ নিজের মাটির ব্যাংকে জমানো টাকাগুলো নিয়ে এসেছে। এটাই তো আমাদের দেশ! এমন বাংলাদেশই তো আমরা চাই! সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা, সম্প্রীতি আর ভালোবাসায় মোড়ানো দেশ।

জাতীয় যে কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইত্যাদি পরিবার মানুষের পাশে দাঁড়ায় সব সময়। এবারও এই সর্বগ্রাসী বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে আছে ইত্যাদি পরিবার। এরই মধ্যে দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করেছে।’ এই দুঃসহ সময় যেন তাড়াতাড়ি কেটে যায়- এমন প্রার্থনায় তিনি আরও লেখেন, ‘বন্যার পানি সরে যাক দ্রুত। দুর্গত মানুষ এই দুরবস্থা থেকে ফিরে যাক স্বাভাবিক জীবনে। আবার কর্মচঞ্চলতায় মুখর হয়ে উঠুক সব মানুষ এই প্রত্যাশা ইত্যাদি পরিবারের।’