জুলাই ও আগস্টে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, চুরি, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ২৯০টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৬২টি হত্যা মামলা রয়েছে। জানা গেছে, ১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা হয় এসব মামলা।
মামলাগুলোয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মোট ৩০৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। ৬২টি হত্যা মামলা ছাড়া বাকি ২২৮টি মামলায় সম্প্রতি সব আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশের রমনা বিভাগে মামলা হয়েছে ৪২টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১৮২ জন। লালবাগ বিভাগে মামলা হয় ১৭টি; যেখানে আসামি ১৪১ জন। মতিঝিল বিভাগে মামলা হয়েছে ৪০টি; গ্রেপ্তার ৪২৩ জন। ওয়ারী বিভাগে মামলা ৫৫টি; গ্রেপ্তার ৬৪৫ জন। তেজগাঁও বিভাগে মামলা হয় ৩৩টি; যেখানে গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৫৭ জন। অন্যদিকে মিরপুর বিভাগে মামলা হয় ২৬টি; গ্রেপ্তার হয় ৪৮৫ জন। উত্তরা বিভাগে মামলা হয় ৩১টি; এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৩০৬ জন। গুলশান বিভাগে মামলা হয় ৪২টি এবং মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪১৯ জন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া আসামিদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ আসীম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ রয়েছেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে ভবিষ্যতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের সন্ধানসহ নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে। আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা