জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। শোবিজে আগমন ঘটে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নাটক, টেলিফিল্ম, সিনেমা ও এবং চলমান বিনোদনের নতুন মাধ্যম ওয়েব সিরিজেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। পাশাপাশি গানের প্রতিও রয়েছে মম’র ভালোবাসা ও আবেগ। এবার প্রকাশ পাচ্ছে তার কণ্ঠে গাওয়া একটি রবীন্দ্র সংগীত। গান এবং অভিনয়ের নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
কেমন চলছে চলমান সময়
দেশের চলমান যে অবস্থা তাতে কোরোরই চলমান সময় খুব একটা ভালো চলছে না মনে হয়। বিশেষ করে আমাদের শোবিজ অঙ্গনের অবস্থা আরও নাজুক। স্থবির হয়ে পড়েছে নাটক, সিনেমারে শুটিং।এতকিছুর মধ্যেই চলছে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই।
অভিনয়ের বাইরে গান
গান মূলত একান্তই শখের একটা বিষয় আমার। আমার এই শখের কথা গণমাধ্যমেই একাধিকবার বলেছি। ভালোবাসার জায়গা থেকে সময় পেলেই গুনগুন করে গান গাই। অনেক দিন আগে শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘রূপকথা এখন আর হয় না’ নাটকে গল্পের প্রয়োজনে একটি গান গেয়েছিলাম। তবে সেটা ছিল বাংলা সিনেমার কালজয়ী গান ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’। গানটি নতুন সংগীতায়োজনে গেয়েছিলাম। আমজাদ হোসেনের লেখা ও আলাউদ্দিন আলীর সুরে গানটি নতুন সংগীতায়োজনে মমর কণ্ঠে প্রশংসাও পেয়েছিল সেসময়।
এবার রবীন্দ্রসংগীত প্রসঙ্গ
এটাও শখের বসেই গাওয়া। কবি গুরুর বহুল জনপ্রিয় ‘তোমার খোলা হাওয়া’ শিরোনামের গানটি গেয়েছি কিছুদিন আগে। গানটি গত মাসেই প্রকাশ পাওয়ার কথা ছিল, কিন্ত দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বড় একটা রদ বদল হওয়ায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আহমেদ রাজীব। এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে গানটির স্টুডিও ভার্সন ভিডিও। রবীন্দ্রসংগীতটি চলতি মাসেই এনএইচটি মিউজিক বক্স ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন সংগীত পরিচালক আহমেদ রাজীব।
চলচ্চিত্রে নারীদের অবস্থান
আমাদের দেশে তো নারীপ্রধান সিনেমা হচ্ছে। আসলে আমরা একটা ফরমেটের দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন গল্প বলার অনেক ভিন্নতা তৈরি হয়েছে। গল্প লেখক ও পরিচালকরা নারীপ্রধান সিনেমা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। আমি মনে করি, আমাদের দেশে নারী গল্প যেদিন অনেক বেশি বলা হবে সেদিন নারীদের অবস্থান আরও বেশি পাকাপোক্ত হবে। তো, আমরা সে পথে এগোচ্ছি। দর্শক নারীদের গল্প দেখতে চাচ্ছেন। পরিচালকরা নারীর গল্প বানাচ্ছেন। আমি নিজেও নারীপ্রধান গল্পে বেশ কয়েকটি চরিত্রে কাজ করেছি। সেই জায়গা থেকে আমি বলতে পারি, আমরা একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, সব ভালো হবে।
ওপার বাংলার সিনেমায়
আমাদের এখান থেকে যারা কলকাতায় কাজ করছেন তাদের জন্য শুভ কামনা। তবে এখানকার কাজকে হেলাফেলা করা যাবে না। কলকাতার অভিনেত্রীরা কিন্তু এখন বাংলাদেশেই ফোকাস করছেন। খোঁজ নিয়ে দেখেন, ওখানকার বেশির ভাগ অভিনেত্রীই বাংলাদেশে কাজের ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী। আমার সঙ্গে অনেকের যোগাযোগও আছে। তারা জানিয়েছেন, দুই বাংলার মধ্যে এখন আমরাই এগিয়ে। সেটা তো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাজ দেখলে বোঝা যায়।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা