শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির সদরদপ্তরে মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণবিষয়ক বিভাগের সহকারী মহাসচিব খালেদ খিয়ারীর মধ্যেকার বৈঠকে এ প্রশংসা করা হয়।
বৈঠকে শান্তিরক্ষায় গাম্বিয়া ও পেরুর মতো অন্যান্য দেশের সহযোগিতা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের নেতৃত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে খালেদ খিয়ারীকে অবহিত করেন এবং এ গুরুত্বপূর্ণ পথে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন। উভয় পক্ষই বিস্তৃত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন।
তারা মানবাধিকার, উন্নয়ন ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে জোরদার সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন। বৈঠকে জাতিসংঘও বাংলাদেশের সাথে শান্তি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের দ্বিতীয় ও প্রথম কমিটিতে বক্তব্য দেন। পররাষ্ট্র সচিব তার ভাষণে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব’-এর চেতনায় একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিস্থাপক বাংলাদেশ বাস্তবায়নে জাতিসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
দ্বিতীয় কমিটিতে, পররাষ্ট্র সচিব সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলো যেমন দ্বন্দ্ব, আর্থিক সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান, পরিবেশগত অবক্ষয় ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি মোকাবেলা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিশ্বে প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপগুলো প্রচার করেন।
প্রথম কমিটিতে, পররাষ্ট্র সচিব সকল রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করার জন্য এবং যুদ্ধ ও সহিংসতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা