আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:১১
উচ্চ আদালতে যাবেন শাকিব
বিনোদন প্রতিবেদক

উচ্চ আদালতে যাবেন শাকিব

দেশীয় চলচ্চিত্রের এই সময়ের শীর্ষ তারকা শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এক নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। এমন অভিযোগের পর রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন শাকিব খান। তবে প্রযোজকের বিরুদ্ধে চিত্রনায়কের আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বাদীপক্ষ নারাজির আবেদন করলেও তদন্তে পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলা খারিজ করে দেন। ফলে প্রযোজক রহমত উল্লাহ মামলার দায় থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন। যদিও এ মামলার পুনরায় তদন্ত চেয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন শাকিবের আইনজীবী খায়রুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, তদন্ত করে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’র ২৪/২৫/২৯ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

পরে এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন শাকিবের আইনজীবী। গত ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ থাকায় নারাজিতে উপস্থিত ছিলেন না শাকিব খান। এ জন্য বাদীপক্ষ নারাজি প্রদানে সময়ের আবেদন করেন। তবে ওইদিন ট্রাইব্যুনাল সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মামলাটি খারিজ করে দেন।

পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাদী চিত্রনায়ক শাকিব খানের আনা অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ মামলা সংক্রান্তে বাদীর দেওয়া পেন ড্রাইভ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। দালিলিক সাক্ষ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। বাদীর আনা অভিযোগে উল্লিখিত ‘ইউআরএল’ সমূহে তদন্তকালীন সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবেশ করে কোনো প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি। এতে ‘ইউআরএল’সমূহ পরীক্ষা করে কোনো তথ্য পাওয়া যাবে না বলে তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করিনি।

বাদীর দুজন সাক্ষীসহ নিরপেক্ষ আরও দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আরও সাক্ষী জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করা হয়েছে। মামলাটি সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়নি।