এ বছর সাহিত্য ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হ্যান কাং।
সুইডেনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ও বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় রয়্যাল সুইডশি অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের স্থায়ী সচিব ম্যাটস মাম নোবেল বিজয়ী হিসেবে ‘হ্যান কাং’-এর নাম ঘোষণা করেন।
অ্যাকাডেমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তার ঐকান্তিক কাব্যিক গদ্য ঐতিহাসিক মর্মাঘাত সামনে নিয়ে আনে এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতা উন্মোচন করে দেখায়।
হ্যান কাং ঐতিহাসিক অভিঘাত এবং নিয়মের অদৃশ্য সেটের মুখোমুখি হন এবং তার প্রতিটি কাজে মানব জীবনের ভঙ্গুরতা উন্মোচন করেন। দেহ-আত্মা, জীবিত ও মৃতের মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে তার এক অনন্য সচেতনতা রয়েছে আর তার কাব্যিক ও নিরীক্ষামূলক শৈলী হয়ে উঠেছে সমসাময়িক গদ্যের উদ্ভাবন।
হ্যান কাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর গোয়াংজুতে জন্মগ্রহণ করেন। নয় বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সাথে সিউলে চলে আসেন। তিনি একটি সাহিত্যিক পরিবেশে জন্ম নেন। তার বাবাও একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক।
লেখালেখির পাশাপাশি তিনি নিজেকে শিল্প ও সঙ্গীতেও নিয়োজিত করেছেন। তার সমগ্র সাহিত্যিক সৃজনশীলতায় প্রতিফলিত হয়েছে। হ্যান কাং ১৯৯৩ সালে ‘সাহিত্য ও সমাজ’ ম্যাগাজিনে বেশ কয়েকটি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তার লেখালেখি শুরু করেন।
১৯৯৫ সালে ছোট গল্প সংকলন ‘ইয়েসুর প্রেম’ প্রকাশ পায়। এর পরে তিনি অনেক অনন্য উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপন্যাস ‘তোমার শীতল হাতজোড়া’।
আগের বছর ২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। ইয়োন ফসের লেখা নাটক ও সাহিত্যের প্রশংসা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলেছে, তিনি তার লেখায় অনুচ্চারিত থেকে যাওয়া বহু কথা তুলে এনেছেন।
১৯০১ সালে,সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা