গত কয়েক বছরে বক্সঅফিস সফল তামিল ছবির নাম এলে, ‘বাহুবলী’র কথা আসে সবার আগে। এই ছবির নায়িকাই কিনা অভিনয়েই আসতে চাননি। গতকাল ছিল অভিনেত্রী আনুশকা শেঠির জন্মদিন। ৪০ পেরোনো এই নায়িকার জন্মদিন ঘিরে উঠে এল আবার সেই তথ্য।
সুইট শেঠি নামে জন্ম নেয়া মেয়েটি হতে চেয়েছিলেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। পরে তিনি মুম্বাইতে ইয়োগা প্রশিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সে সময় তার কাছে অভিনয়ের সুযোগ এলেও একেবারেই পাত্তা দেননি তিনি। উল্টো রুপালি পর্দা থেকে দূরে থাকতেন। এক স্মৃতিচারণায় আনুশকা বলেন, ‘আমি মনে করতে পারি, আমার তার (পরিচালক পুরি জগন্নাথ) সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। আমাকে কল করে মুম্বাইতে তার দেখা করার কথা। আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। আমি তাকে কল করিনি এবং আমি সবাইকে বলে বেড়াতাম, আমি কল করেছি, তার ফোন বন্ধ ছিল। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে চাইনি, তাই মিথ্যা বলেছিলাম।’

এরপর পুরি জগন্নাথ আবার মুম্বাই এলেন। তখন আনুশকার বন্ধুরা তাকে দেখা করার জন্য বললেন। আনুশকার ইচ্ছা ছিল না। তাই ইয়োগার পোশাক পরেই দেখা করতে গেলেন। কিন্তু পুরির কাছে এভাবে গিয়ে শাপে বর হলো। ইয়োগার পোশাক দেখেই পছন্দ হয়ে গেল তাকে। ছবিতে নিয়ে নিলেন। কারণ, সেই ছবিতে আনুশকার চরিত্র ছিল একজন টমবয়ের।
এভাবেই ২০০৫ সালে তেলেগু ছবি ‘সুপার’ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল আনুশকার। তার বিপরীতে ছিলেন তেলেগু সুপারস্টার নাগার্জুনা। এর পরের ইতিহাস সবার জানা। অভিনয় আর অভিনয়। আনুশকা হয়ে ওঠেন দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ নায়িকাদের একজন।

১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা