গ্যাস পরিবহনের জন্য পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ) তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। এর সাহায্যে আর্কটিক অঞ্চল থেকে এশিয়ায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবহন করবে দেশটি। গ্যাস পরিবহনের জন্য এ ধরনের সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে ২০০০ সাল থেকেই আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যেই কুরচাতোভ ইনস্টিটিউট ও গ্যাজপ্রম আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজটির নকশা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রাশিয়ার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে আর্কটিক থেকে এশিয়ায় যাত্রার সময় অনেক কমে আসবে। সে হিসেবে উত্তর সাগর হয়ে যে যাত্রায় এখন ২০ দিন সময় লাগছে, সেটি ১২ দিনে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। রাশিয়ার কুরচাতোভ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মিখাইল কভালচাক সেন্ট পিটার্সবার্গে আয়োজিত শিল্প বিষয়ক সম্মেলনে এ সাবমেরিন প্রকল্পের পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নতুন শ্রেণির এ যান গ্যাস পরিবহনের জন্য ভালো একটি বিকল্প হতে পারে।
সম্মেলনের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, গ্যাস পরিবহনের জন্য এ ধরনের সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে ২০০০ সাল থেকেই আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যেই কুরচাতোভ ইনস্টিটিউট ও গ্যাজপ্রম আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজটির নকশা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তথ্যমতে, পরিকল্পিত এ সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য হবে ৩৬০ মিটার ও প্রস্থ হবে ৭০ মিটার। এ যানটিতে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টন এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে উত্তর সাগরের রুট ব্যবহার করে এলএনজি পরিবহনের জন্য পরমাণু শক্তিচালিত আইসব্রেকার (বরফ ভেঙে এগিয়ে যেতে পারে এমন জাহাজ) ব্যবহার করছে রাশিয়া। মস্কো
এ রুটকে সুয়েজ খালের একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে মনে করে এবং এ রুটের উন্নয়নের জন্য তাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই বাস্তবায়নের পথে। আর্কটিকের বরফের মধ্যে দিয়ে চলাচলে সক্ষম এমন জাহাজের সংকটের কারণে রাশিয়া বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা তাদের আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্পের পুরোপুরি সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি বাধা। প্রসঙ্গত, আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সমুদ্র থেকে এলএনজি উত্তোলন শুরু করে রাশিয়া।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা