লালমনিরহাটের লোহাকুচি মহিষতুলি সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় পতাকা বৈঠকে দুঃখপ্রকাশ করেছে বাহিনীটি।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মহিষতুলি সীমান্ত এলাকার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক মো. তৌহিদুল আলম দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তৌহিদুল আলম বলেন, বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় আজ (বুধবার) বিকেলে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠেকের আহ্বান করা হয়েছিল। দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার বিষয়ে আমরা পতাকা বৈঠকে জোর প্রতিবাদ জানাই। তারা এ বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এ ধরনের ঘটনা আর হবে না। তবে গরু চোরাকারবারিরা যেন সীমান্তে না আসে, সে বিষয়েও কথা হয়েছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক আরও বলেন, বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ থেকে ১২ জন গরু চোরাকারবারি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। তখন বিএসএফ এক রাউন্ড গুলি চালায়।
ভারতের ৭৫ বিএসএফ কৈমারি কোম্পানি কমান্ডার তানিজ হর বর্হা ও বিজিবির পক্ষ থেকে মোগলহাট কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আশরাফ আলী পতাকা বৈঠকে দুই পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
বিজিবি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লোহাকুচি মহিষতুলি সীমান্ত ভারতের ৭৫ বিএসএফ কৈমারি ক্যাম্পের টহল দল বাংলাদেশ অংশে কয়েকজন গরু চোরাকারবারিকে লক্ষ করে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই দুই গরু চোরাকারবারি দলের সদস্য আয়নাল হক ও ওয়াচ কুরনির মৃত্যু হয়। পরে তাদের সঙ্গীরা মরদেহ নিয়ে পালিয়ে আসেন।
এদিকে, আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তারুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক না থাকায় নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ময়নাতদন্ত হয়নি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ময়নাতদন্ত হবে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা