শেষ বলে শটটা দুর্দান্ত ছিল। কোমরের ওপর বল। তাতে একটু পিছিয়ে কবজি ঘোরালেন হার্দিক পান্ডিয়া। বল সজা স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে। কিন্তু বল চার হওয়ার বহু আগেই ঘটনা ঘটে গেছে। একটু পিছিয়ে যেতে গিয়ে পান্ডিয়ার পা স্টাম্প ভেঙে দিয়েছে। ফলে ৩৩ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত না থেকে ৬৩ রানে আউট হয়ে গেলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
এর আগেই অবশ্য নিজের কাজটা সেরেছেন পান্ডিয়া। তার ঝড়েই দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়ার পূঁজি পেল ভারত। ৬ উইকেটে ১৬৮ রান ভারতের। শেষ ১০ ওভারে ১০৬ রান পেয়েছে ভারত। শেষ ৯৩ রানের ৬৩-ই পান্ডিয়ার।
শুরুটা খুব বাজে হয়েছে ভারতের। লোকেশ রাহুল আবারও শুরুতে আউট। রোহিত শর্মা তো ওয়ানডে না টি-টোয়েন্টি খেলছেন, তা বোঝাই যাচ্ছিল না। ২৮ বলে ২৭ রান করেই বিদায়। কোহলিও খুব একটা দ্রুত গতিতে রান তোলেননি। যার আশায় বসে ছিল ভারত, সেই সূর্যকুমারও ১০ বলে ১৪ করে বিদায়।
৫২ বল বাকি থাকতে নেমেছিলেন পান্ডিয়া। ভারতের রান তখন মাত্র ৭৫। কোহলি এক পাশে ছিলেন বটে, কিন্তু পান্ডিয়া ছন্দ পাচ্ছিলেন না কোনোভাবেই। প্রথম ৯ বলে মাত্র ৪ রান ছিল তার। ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়তে থাকে। তবে ঝড় উঠতে পারে, সে আভাস মিলেছে ১৭তম ওভারে গিয়ে। স্যাম কারেনের বলে একস্ট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা মারার পর সে ওভারে আবার চুপ হয়ে গেলেন।
ক্রিস জর্ডানের পরের ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা। সে ওভারে আবার ফিফটির পরই কোহলি আউট।কিন্তু পান্ডিয়া হাল ছাড়েননি। পরের ২ ওভার থেকে ৩২ রান এনে দিলেন। যেটা পা একটু কম পেছালেই ৩৬ হতে পারত। ৫ ছক্কার সঙ্গে পান্ডিয়ার ইনিংসের চারও ৫টি হতো।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা