আপডেট : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৮:৪৮
৪ আগস্টের পর সারা দেশে ৪৪ মাজারে হামলা-লুটপাট
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি * চট্টগ্রামে ১০, ময়মনসিংহে ৭ * বিভিন্ন থানায় ১৫ মামলাসহ ২৯ জিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ আগস্টের পর সারা দেশে ৪৪ মাজারে হামলা-লুটপাট

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৪ আগস্টের পর সারা দেশের ৪০টি মাজার (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৪টি স্থাপনা ভাঙচুর ও হামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

এসব হামলায় মাজার ভাঙচুর ও ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের অভিযোগ গ্রহণ ও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন থানায় ১৫টি নিয়মিত মামলাসহ ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

শনিবার পুলিশের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রেস উইং জানায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) হামলার বিষয়ে পুলিশের রিপোর্টে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মাজার-দরগায় যেকোনো আক্রমণের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। মামলাগুলো কঠোরভাবে তদন্ত করে হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শুধু শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারবার হামলা হয়েছে।

এই ৪৪টি হামলার ঘটনার সবকটিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। এসব মামলা ও ডায়রি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে করেছে। এসব ঘটনায় ফৌজদারি মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।

বিজ্ঞঘপ্তিতে আরও জানানো হয়, এসব হামলায় মাজার/দরগাহ এবং ভক্তদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও মাজারে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীলকরণ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।