রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাতিরঝিল, ইসিবি চত্বর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনীর একাধিক ব্রিগেডের অংশগ্রহণে পরিচালিত গত পাঁচদিনের একাধিক অভিযানে ১২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারি রয়েছে।
শনিবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মালসহ সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো, র্যাব এবং থানা পুলিশের সমন্বয়ে মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া, কামরাঙ্গীরচর, গনকটুলী, চকবাজার, সোয়ারিঘাট, মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, আদাবর, হাতিরঝিল, রায়ের বাজার, খিলক্ষেত, কাফরুল, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, উত্তরা, আবদুল্লাপুর, দক্ষিণখান ও নিকুঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ১২৬ জন গ্রেপ্তার হন। তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, অবৈধ ওষুধ, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহূত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, অবৈধ প্রসাধনী ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানায়।