নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার ৪৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানিয়েছে, অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে লাক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনকালে তার ৪৯টি অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লাক মিয়ার ৫৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর বিপরীতে তার বৈধ আয়ের উৎস মাত্র ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
এজাহারে আরও বলা হয়, লাক মিয়ার ৪৯ ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক জানায়, ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
এজাহারে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, লাক মিয়া ৪১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও ১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৫৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন। উক্ত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। অবশিষ্ট ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার জ্ঞাত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। দ্বিতীয় মামলায় মাহমুদা বেগম ও লাক মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। মাহমুদার ১৪ ব্যাংক হিসাবে ৪৬১ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এসব লেনদেন করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা