আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১২
ব্রিজ ভেঙে খেরসন ছাড়লো রাশিয়া, ইউক্রেনীয়দের উল্লাস
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্রিজ ভেঙে খেরসন ছাড়লো রাশিয়া, ইউক্রেনীয়দের উল্লাস

স্যাটেলাইট থেকে তোলা আন্তনিভস্কি ব্রিজের বর্তমান চিত্র (বাঁয়ে), ইউক্রেনীয়দের উল্লাস (ডানে)।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইউক্রেনের খেরসন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া। রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন ফিরে পেয়ে গতকাল শুক্রবার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে হাজার হাজার ইউক্রেনীয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেখানকার বাসিন্দাদের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে তোলা ছবি দেখা গেছে।

এদিকে খেরসন থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, আন্তনিভস্কি ব্রিজ নামে যে সেতুটি রুশ সৈন্যরা প্রত্যাহারের জন্য ব্যবহার করেছে সেটি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কিছু রুশ সূত্র বলেছে, সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পর রুশরাই এটা ধ্বংস করে দিয়েছে। টুইটারে এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রুশ সৈন্যরা ব্রিজের নিচে তৈরি পন্টুন ব্যবহার করে নদী পার হচ্ছেন। খবর বিবিসির।

সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মস্কোর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের সকল সৈন্যকে ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং কোন অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম পেছনে ফেলে আসা হয়নি।

ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এই খেরসন শহরটিই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল।

এর আগে গত বুধবার মস্কো ঘোষণা করেছিল যে অব্যাহত ইউক্রেনীয় আক্রমণের মুখে খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। কারণ হিসেবে মস্কোর সেনা কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেছিলেন, খেরসন শহরে রসদ-পত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। এই সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে খেরসনে থাকা রুশ সৈন্যরা ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে।

গত কিছুকাল ধরেই ইউক্রেনীয় বাহিনী তিন দিক থেকে খেরসনের দিকে তাদের অগ্রাভিযান চালাচ্ছিল এবং শহরটির উত্তর-পূর্বদিকে কিছু এলাকা পুনর্দখল করে নিয়েছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন থেকে ৩০ হাজারের বেশি সেনা তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পাশাপাশি ৫ হাজার সামরিক সরঞ্জামও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ইউক্রেনের দাবি, তারা খেরসন পুনরুদ্ধার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ইউরি সাক বলেছেন, ইউক্রেনের সেনারা খেরসনের প্রায় পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। তারা এই বিষয়টিকে বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন।