ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উন মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
শুক্রবার (৯ মে) রাতে ভারতের বারামুলা থেকে ভূজ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা এসব হামলা চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, সামরিক অভিযানটির নাম ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’ রাখা হয়েছে। আরবি ভাষার এ শব্দগুচ্ছের অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’।
জানা যায়, শুক্রবার রাতের হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের বারামুলা জেলার উরি শহরে ভারতীয় সেনবাহিনীর একটি ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টার এবং সরবরাহ বা রসদ ডিপো, নাগরোটা শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ব্যাটারি ধ্বংস হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাকিস্তান থেকে চালানো সন্দেহভাজন সশস্ত্র ড্রোন বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল। বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, লালগড় জাট্টা, জয়সলমীর, বারমের, ভুজ, কুয়ারবেত এবং লক্ষী নালার কাছে ওই ড্রোনগুলো দেখা গেছে।
তারা আরও জানায়, ফিরোজপুরের একটি বেসামরিক এলাকায় একটি ড্রোন থেকে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। ওই হামলায় স্থানীয় অনেক বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বিস্ফোরণের খবর আসছে। বিবিসির সাংবাদদাতারা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর এবং জম্মু শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তবে এই বিস্ফোরণের উৎস শনাক্ত করা যায়নি।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার রাতে দেশটির ২৪টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হন। আহত হন ৪৬ জনের বেশি। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
১৯৮/সি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
©দৈনিক বাংলা